ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা। দুই বছর প্রেম করার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। তারপর ১৫ বছর সংসার করেন। এক যুগের বেশি সময় সংসার করার পরও ভেঙে গেছে এ জুটির বিয়ে।

অভিযোগ রয়েছে, অভিনেত্রী ইশা সাহার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের কারণে এই সংসার ভেঙেছে। যদিও ইশা তা নাকচ করেছেন। এরই মধ্যে সৃজিত মুখার্জি ঘোষণা করেছেন তার ‘লহ গৌরাঙ্গের রে’ সিনেমায় অভিনয় করবেন ইন্দ্রনীল ও ইশা। তারপর এ জুটির পুরোনো অধ্যায় চর্চার পাঠ্য হয়েছে। এ নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম কথা বলেছে ইশার সঙ্গে।

ইন্দ্রনীল-বরখার সংসার ভেঙে গেছে

আরো পড়ুন:

নিজের চোখে সন্তানের বেড়ে ওঠা দেখতে চাই: পরমব্রত

কবীর সুমনকে কেন ‘জিহাদি’ বললেন তসলিমা?

আপনারা ফের একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন; তাহলে গুঞ্জন কী নতুন করে শুরু হবে? এ প্রশ্নের জবাবে ইশা সাহা বলেন, “গুঞ্জন বাড়বে না কমবে— বিষয়টি নিয়ে আর মাথা ঘামাই না। কারণ আমি কিছু করলেও লোকে বলবে, না করলেও।”

নায়ক যদি কেক এনে শুটিং সেটে জন্মদিন উদযাপন করেন, কিংবা একান্তে সময় কাটান তবে তো মানুষ নিন্দা করবেই! এ কথা বলার পর ইশা সাহা বলেন, “এটা খুব বাজে রটনা। ইন্দ্রনীলদা কেক আনেননি। শুটিংয়ের সময় কারো জন্মদিন এলে ইউনিট থেকে কেক আনানো হয়। সকলে মিলে উদযাপনে যোগ দেন। ‘তরুলতার ভূত’ সিনেমার আগে ইন্দ্রনীলদাকে চিনতামও না। ফলে আলাদা করে সময় কাটানোর প্রশ্নই উঠে না।”

বিষয়টি বিশদে ব্যাখ্যা করে ইশা সাহা বলেন, “মানুষ আমাদের শুটিং দেখতে পান না। ফলে বুঝতেও পারেন না, আমরা কতটা পরিশ্রম করি। একটা চরিত্র ফোটানো কতটা চাপের! মানুষ ভাবেন, আমরা বোধহয় হইহই করে দিন কাটাই। নায়কদের সঙ্গে প্রেম করি, একান্তে সময় কাটাই। দিন শেষে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরি। বিশ্বাস করুন, সেটে আমাদের দম ফেলার সময় থাকে না। একান্তে সময় কাটানো অনেক দূরের কথা।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র সময় ক ট এক ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের যেসব আসনে নির্বাচন করার কথা রয়েছে, সেখানেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব- সমর্থকদের বিক্ষোভ

বিএনপির ঘোষিত আসনভিত্তিক তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা-১১ (বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা) আসনের তাদের প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

রংপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ এনামুল হক ভরসা। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। এই আসনে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের।

কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে মো. মমিনুল হককে। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের দলের আসনভিত্তিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি। যখন চূড়ান্ত করা হবে, আপনাদের জানানো হবে।”

এর আগে রবিবার (৩ নভেম্বর) সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। আর কে কোন আসনে দাঁড়াবেন, আমরা প্রার্থী তালিকা এ মাসেই দিতে পারি।”

অবশ্য বিএনপি ও এনসিপি চূড়ান্ত মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত যে কোনো আসনে যেকোনো সময় পরিবর্তন আসতে পারে বলে তারা ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। 

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ