মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
Published: 21st, March 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তেজখালী ইউনিয়নের আকানগর পাঁচ রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই স্কুলছাত্রের নাম সিফাত (১৪)। সে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের সোনারামপুর ডেঙ্গা পাড়ার সৌদি প্রবাসী সাহেব মিয়ার ছেলে। সোনারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সিফাত তার মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে রাতে ঘুরতে বের হয়। আকানগর পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের স্পিড ব্রেকারের ওপর উঠে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে সলিমগঞ্জের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য়
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল