সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই ছোট বোনের শ্বশুরবাড়িতে সেমাই-চিনিসহ ঈদের উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন মো. রিফাত (২৫)। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিফাত জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার কোটবাড়িয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিফাতের বোনের শ্বশুরবাড়ি সুবর্ণচর উপজেলার হারিছ চৌধুরীর বাজার এলাকায়। গতকাল বিকেলে সেখানে ঈদ উপহার নিয়ে যান তিনি। পরে রাতে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়কে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এ সময় রিফাত গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রিফাতের বোনের শ্বশুর মো.

সবুজ প্রথম আলোকে ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

জানতে চাইলে সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলী আজম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ