কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দিতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ
Published: 21st, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগকে ভেঙে দিতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছাত্র-শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প শিক্ষা বিভাগকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করে এর নিয়ন্ত্রণে থাকা অর্থ রাজ্যগুলোতে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মূলত কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগকে বিলোপ করার লক্ষ্য নিয়ে এ আদেশটি দেওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউসে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, আদেশটি শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করার প্রথম পদক্ষেপ। আমরা শিক্ষায় ফিরতে যাচ্ছি। এটা খুব সাধারণ বিষয়। আর তা হলো, এটিকে (শিক্ষাকে) অঙ্গরাজ্যগুলোতে ফিরিয়ে নেওয়া, যা এর শিকড়।
স্কুলের নীতিমালাকে প্রায় পুরোপুরিভাবে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় বোর্ডের হাতে ছেড়ে দেওয়ার উপযোগী করে নির্বাহী আদেশটি তৈরি করা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তারা তাদের প্রায় অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের আকার কমাতে ট্রাম্পের তৎপরতার অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রক্ষণশীলরা চান শিক্ষাবিষয়ক নীতিমালা ও স্কুল বাছাইয়ের সুযোগের ওপর স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ থাকুক, তা বেসরকারি ও ধর্মীয় স্কুলগুলোকে সুবিধা দেবে। আর বামপন্থী ধারার ভোটারেরা ব্যাপকভাবে সরকারি স্কুল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ কর্মসূচিগুলোতে ভালো রকমের তহবিল দেওয়ার পক্ষে। শিক্ষা বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১ লাখ সরকারি এবং ৩৪ হাজার বেসরকারি স্কুলের তহবিল তত্ত্বাবধান করে থাকে। যদিও সরকারি স্কুলের ৮৫ শতাংশেরও বেশি তহবিল অঙ্গরাজ্য এবং স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে আসে। অর্থসংকটে থাকা স্কুল এবং কর্মসূচিগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় অনুদান প্রদান করে থাকে এ বিভাগ। যেমন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার জন্য অর্থ, শিল্পকলা সংক্রান্ত কর্মসূচির জন্য তহবিল এবং পুরোনো অবকাঠামো প্রতিস্থাপনের কাজ করে থাকে। সরাসরি কলেজের খরচ বহন করতে পারে না এমন শিক্ষার্থীদের ঋণ দেওয়ার কাজটিও তত্ত্বাবধান করে তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু
কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি।
সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।
সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।
টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।
ঢাকা/এএএম/ইভা