বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের ভাই-বোনেরা যে রক্ত দিয়েছেন সেটাকে প্রকৃত সফলতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য জুলাই স্পিরিটের আলোচনা জারি রাখতে হবে। জুলাই স্পিরিট ছিল ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে।

এজন্য যদি আমাদের জীবন দিতে হয় রক্ত দিতে হয় দিবো। এরপরও আমরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না, ন্যায়ের পক্ষে থাকবো। এটা ছিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম স্পিরিট। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্য ও সাথীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন শহরের মাসদাইর এলাকার বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 

মো.

জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের আরেকটা স্পিরিট ছিলো আমরা মাজলুম। কোনো না কোনোভাবে জুলুমের শিকার হচ্ছি। আরেকটা পক্ষ বারবার জুলুমের করেই যাচ্ছে। জালেম এবং মাজলুমের মধ্যকার লড়াইয়ে আল্লাহর সাহায্য অবধারিত সেটা জুলাইয়ের আন্দোলন প্রমাণ করে দিয়েছে। জুলাইয়ের বড় কনসেপ্ট ছিলো ঐক্যবদ্ধ হওয়া। আমাদের মতের ভিন্নতা ছিলো চিন্তার ভিন্নতা ছিলো কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের স্পিরিট ছিলো ভ্রাতৃত্ব ভালোবাসা। সেক্রিপ্রাইজ করার মানসিকতা। যার কারণে আহত অনেককে সাহায্য করা সময় তারা বলেছে আপনারা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। 

জুলাইয়ের ক্রেডিট নিয়ে ডিবেটের বিষয় উল্লেখ করে শিবির সভাপতি বলেন, আজকের এই দিনে মনে হচ্ছে আমরা জুলাই স্পিরিটকে ভুলে যাচ্ছি। ওই সময়ে যে মানসিকতা ছিলো কেন জানি সেটা থেকে সড়ে যাচ্ছি। দুনিয়ার প্রাপ্তির দিকে নজর চলে যাচ্ছে। ক্রেডিট নিয়ে একধরনের ডিবেট শুরু হয়ে গেছে। কে কার চেয়ে কত বেশি করেছি। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ মো. ইসমাইলের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি আবদুল জব্বার। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন য য় র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ