পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে দুর্ঘটনায় যুক্ত ভলকা পরিবহনের সংশ্লিষ্ট বাসের নিবন্ধন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বৃহস্পতিবার রাতে বিআরটিএর পাবনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) আলতাব হোসেনের সই করা চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

পাবনা-ব-১১-০১৫৯ নম্বর বাসটি নিবন্ধিত হয়েছে নিটল মোটরসের নামে। বিআরটিএ বলেছে, বাসটির ফিটনেস ও ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর। ওই বাসের মালিককে রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ আগামী তিন দিনের মধ্যে বিআরটিএ পাবনা কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে নিবন্ধন বাতিলসহ মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ।

বিআরটিএর চিঠিতে বলা হয়েছে, ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়ে বাসটি। এতে ওই অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনার পর সন্ধ্যা সাতটায় পাবনা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক এস এম ফরিদুল রহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ অবস্থায় ২০২২ সালের সড়ক পরিবহন বিধিমালা অনুযায়ী পাবনা-ব-১১-০১৫৯ নম্বর বাসের নিবন্ধন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ।

আরও পড়ুনঈশ্বরদীতে অটোরিকশাকে বাসের ধাক্কা, একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৪২০ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব আরট এ ন বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ