চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় টেঁটাবিদ্ধ করে নির্মমভাবে বিপন্ন প্রজাতির একটি মেছোবিড়ালকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত যুবক আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক আলমগীর উপজেলার ধন্যঘরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীরের বাড়ির পাশে ধানক্ষেত রয়েছে। সেখানে বন্যপ্রাণীর অবাধ যাতায়াত রয়েছে। সম্প্রতি ধানক্ষেতে একটি মেছোবিড়াল দেখতে পান তিনি। মেছোবিড়াল তার হাঁস খেয়ে ফেলতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে টেঁটা নিয়ে নিয়মিত পাহারা দেন তিনি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে একটি মেছোবিড়াল ধানক্ষেতে আসলে পেছনের দিকে টেঁটাবিদ্ধ করে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উপর নিয়ে আসেন আলমগীর। বিড়ালটি প্রাণে বাঁচতে বারবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শক্ত করে বিদ্ধ করে রাখা হয় টেঁটা। মৃত্যু নিশ্চিত করে টেঁটামুক্ত করা হয় বিড়ালটিকে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি ওঠে।

পরে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দর্শনা থানার ওসি মুহম্মদ শহীদ তিতুমীরসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলার পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। এ সময় অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনকে আটক করে পুলিশ। মাটিতে দাফন করা হয়েছে মৃত মেছোবিড়ালটি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিথি মিত্র জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য বন বিভাগকে বলা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক ব দ ধ কর আলমগ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ঢাকার প্রার্থী যারা 
  • ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মির্জা আব্বাস
  • পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরোধী: মির্জা ফখরুল
  • কাঁচাপাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেএ চেয়ারম্যানের
  • বাবাকে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে যায় শিশু, মুহূর্তে ট্রাকচাপায় নিহত
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার