চুলের যত্নে তেল মালিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলের বৃদ্ধিতে এবং পুষ্টি জোগাতে তেল মালিশ বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

যেভাবে তেল মালিশ করলে মিলবে উপকার

১. স্ক্যাল্পে আলতো হাতে তেল ম্যাসাজ করতে হবে। তেল দিয়ে জোরে জোরে চুলে রঘষা মৌটেও ঠিক নয়। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চুল পড়ার সমস্যাও বাড়ে। 

২. চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নারকেল তেল হালকা গরম করে স্ক্যাল্পে এবং চুলের লম্বা অংশে ম্যাসাজ করুন। এতে উপকার পাবেন।

৩.

তেল স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায়। সেই সঙ্গে রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে। এর ফলে চুল থাকে মোলায়েম এবং উজ্জ্বল।

৪. হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি উন্মুক্ত করতে তেল মালিশের অভ্যাস খুব ভালো কাজ দেয়। হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি ঠিকভাবে উন্মুক্ত হলে তবেই নতুন চুল দ্রুত গজাবে।

৫. চুলের বৃদ্ধিতে ক্যাস্টর অয়েল সাহায্য করে। তবে এই তেল চিটচিটে ধরনের হওয়ায় অন্য কোনও তেল যেমন নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত।

৬. নিয়মিত তেল ম্যাসাজের অভ্যাস চুলের সঠিক বৃদ্ধিতে, নতুন চুল গজাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। 

চুলে তেল ব্যবহারের আগে কাদের সতর্ক হওয়া উচিত

স্ক্যাল্প যদি অতিরিক্ত তেলতেলে ধরনের হয়, তাহলে তেল ব্যবহারের আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি। কারণ অতিরিক্ত তেল কখনই চুলের জন্য ভাল নয়।
খুশকির সমস্যা থাকলেও তেল ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অনেক সময় স্ক্যাল্পে অয়েল ম্যাসাজের কারণে খুশকির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ল র যত ন ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ