ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে এক কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়। পরদিন রোববার তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই কিশোরী। সেই মামলার প্রধান আসামি রফিকুলকে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন– মো.

সুমন ও মো. স্বাধীন। গ্রেপ্তার রফিকুল শশীভূষণ থানা বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের ভাই এবং এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি মোতালেফ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে ঈদের কেনাকাটা করতে শশীভূষণ বাজারে যায় ওই কিশোরী। কেনাকাটার এক পর্যায়ে তার মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে যায়। এ সময় সুমন ওই কিশোরীকে তার দোকানের পেছনে শয়নকক্ষে নিয়ে ফোন চার্জ দিতে বলেন। মেয়েটি সেখানে বসেই তার ফোন চার্জ দিচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে রফিকুল তার সঙ্গী স্বাধীনকে পাহারায় রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে রফিকুলকে আটক করে। এ সময় সুমন ও স্বাধীন পলিয়ে যায়।

শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পাবনায় নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় ঘরে ঢুকে বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ মার্চ রাতের এ ঘটনায় শনিবার বাচ্চু ওরফে বাক্কু নামে একজনের বিরুদ্ধে আটঘরিয়া থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই।

আটঘরিয়া থানার ওসি শফিকুজ্জামান সরকার জানান, ওই নারীর শরীরের স্পর্শকতার স্থানে স্পর্শ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় জমি নিয়ে বিরোধে ভাতিজার হাতে ফুফু খুন 

পাবনার আটঘরিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাতিজার হাতে ফুফু খুন হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আটঘরিয়া পৌরসভার রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত মনোয়ারা খাতুন (৭০) একই এলাকার মৃত আয়নুদ্দীন প্রামানিকের স্ত্রী।

অভিযুক্ত ভাতিজা আজিম উদ্দিন (২৭) একই এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ভাতিজা ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে মনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে তার ভাই আক্তার হোসেনের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন মনোয়ারা খাতুনের ছেলে আব্দুল মমিন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই পরিবারের মধ্যে। 

সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আপন ভাই আক্তার হোসেনের ছেলে ভাতিজা আজিম উদ্দিন। পর মুহূর্তেই সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মনোয়ারা খাতুনকে উপর্যুপরি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। 

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুজ্জামান বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় জমি নিয়ে বিরোধে ভাতিজার হাতে ফুফু খুন