রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এম সাইফুল ইসলাম, পরিদর্শক মনিরুজ্জামান, বিভাগীয় কার্যালয়ের রাসায়নিক পরীক্ষক মো.

শফিকুল ইসলাম সরকার, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও ডা. মো. মাহফুজুল হক, রাঙামাটি সরকারি কলেজের প্রভাষক সঞ্জয় দে ও এরফান শাহরিয়ারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. আয়নুল ইসলাম ও সহসভাপতি সঞ্চিতা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতায় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল বিজয়ী হয় এবং রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ বিজিত দল হিসেবে নির্ধারিত হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরস্কার পান রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দলের দলনেতা মো. নুরুল আলম। v

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ