পবিত্র রমজান মাসের শেষ দিনগুলোতে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে আগত হজযাত্রীদের সঙ্গে ছোট শিশু না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।  প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা অপারেশন কেন্দ্র (এনসিও) নামাজের সময় অতিরিক্ত যানজটের বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের জন্য হজযাত্রীদের নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে।

রমজান মাস ওমরাহর জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততম সময়। এ সময়ই মুসলিমদের ওমরাহ পালনের প্রবণতা বেড়ে যায়। পবিত্র এই মাসের শেষ ১০ দিন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল কদর, যে রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.

)-এর ওপর প্রথম কুরআন নাজিল হয়েছিল।

উদ্বেগ কমাতে, দুই পবিত্র মসজিদের যত্নের জন্য জেনারেল অথরিটি শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রদানের জন্য সার্বক্ষণিক শিশু যত্ন কেন্দ্রের উপলব্ধতার কথা তুলে ধরেছে। সংস্থাটি অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘আপনার শিশুরা নিরাপদ হাতে আছে’। পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করার সময় এই সুবিধাগুলো ব্যবহার করার জন্য অভিভাকদের উৎসাহিত করেছে সংস্থাটি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ওমর হ স দ আরব র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ