ওমরাহ পালনে শিশুদের জন্য নতুন নির্দেশনা সৌদি আরবের
Published: 25th, March 2025 GMT
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দিনগুলোতে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে আগত হজযাত্রীদের সঙ্গে ছোট শিশু না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা অপারেশন কেন্দ্র (এনসিও) নামাজের সময় অতিরিক্ত যানজটের বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের জন্য হজযাত্রীদের নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে।
রমজান মাস ওমরাহর জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততম সময়। এ সময়ই মুসলিমদের ওমরাহ পালনের প্রবণতা বেড়ে যায়। পবিত্র এই মাসের শেষ ১০ দিন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল কদর, যে রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.
উদ্বেগ কমাতে, দুই পবিত্র মসজিদের যত্নের জন্য জেনারেল অথরিটি শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রদানের জন্য সার্বক্ষণিক শিশু যত্ন কেন্দ্রের উপলব্ধতার কথা তুলে ধরেছে। সংস্থাটি অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘আপনার শিশুরা নিরাপদ হাতে আছে’। পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করার সময় এই সুবিধাগুলো ব্যবহার করার জন্য অভিভাকদের উৎসাহিত করেছে সংস্থাটি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ওমর হ স দ আরব র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।