যমুনা সেতু সড়কে চাপ বাড়লেও যানজট নেই, এক দিনে টোল ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা
Published: 26th, March 2025 GMT
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে যানজট নেই। স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে যানবাহন। বুধবার স্বাধীনতা দিবসের ছুটি থাকায় মঙ্গলবার বিকেল থেকেই এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।
যমুনা সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ যান চলাচল বেড়ে গেছে বলে সূত্রটি জানায়।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে। যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৫ হাজার ৩৫৪টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা। অন্যদিকে ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন পার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় টোল প্লাজার সামনে যাতে যানজট না হয় সে জন্য যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে ১২টি বুথে টোল আদায় করা হয়। এ ছাড়া দুই প্রান্তেই মোটরসাইকেলের জন্য দুটি পৃথক লেন করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক