৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (২৬ মার্চ) ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ প্রিন্সের উদ্যোগে এ ইফতার বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ইফতার বিতরণে সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ছাত্রদল নেতা মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স বলেন, “সহমর্মিতা ও সংযমের মাস রমজানের শুরু থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়া।”

আরো পড়ুন:

নববর্ষের শোভাযাত্রায় থাকবে না আবু সাঈদের ভাস্কর্য

বেতন-ভাতা নিয়ে হয়রানি বন্ধের দাবি ঢাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের

তিনি বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদ, নব্বইয়ের গণআন্দোলন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে জনকল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান কবির, ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য ইউসুফ ভুঁইয়া নীরব, রাকিব হাসান, জসিম উদ্দিন হল ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক মো.

আব্দুল ওহেদ, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রনেতা ইমতিয়াজ রনি, শাহরিয়ার ইসলাম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রনেতা জুবায়ের হোসেন, নূর মোহাম্মদ।

আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্রনেতা কেএস জুনায়েদ, ঢাকা মহানগরের উত্তরের শান্ত রহমান, মহানগর পূর্বের রবিউল ইসলাম, মহানগর পশ্চিমের মামুন খান, ঢাকা কলেজের মিয়ারাজ, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি মো.সিয়াজ মুন্সী প্রমুখ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ইফত র ব তরণ ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ