খুলনা জেলা বিএনপির ৬১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন
Published: 26th, March 2025 GMT
খুলনা জেলা বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে বর্ধিত করে ৬১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে খুলনা জেলা বিএনপির আগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। গত ১৩ ডিসেম্বর খুলনা জেলা বিএনপির তিন সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে মো.
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়কের বাইরে আরও ৯ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ৪৯ জনকে সদস্য রাখা হয়েছে। আগের জেলা কমিটির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসানকে (বাপ্পী) এবারে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কেরা হলেন খান জুলফিকার আলী (জুলু), মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মো. তৈয়েবুর রহমান, এস এম শামীম কবির, গাজী তফসির আহমেদ, কামরুজ্জামান, মনিরুল হক, অসিম কুমার সাহা ও এনামুল হক।
কমিটির সদস্যরা হলেন আমির এজাজ খান, এস এম মনিরুল হাসান, গাজী আবদুল হক, মোস্তফা উল বারী, শেখ আবদুর রশিদ, এস এ রহমান বাবুল, চৌধুরী কাওসার আলী, আশরাফুল আলম, সুলতান মাহমুদ, টিকু রহমান, শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার, আবদুস সবুর, মোল্লা মাহবুবর রহমান, আনিসুর রহমান, শেখ আজগর আলী, আবদুস সাত্তার, শাকিল আহমেদ, মোল্লা এনামুল কবির, শামসুল আলম, নাজমুস সাকির, ওয়াহিদ ইমরান, সরোয়ার হোসেন, জি এম রফিকুল হাসান, মো. ইকবাল শরীফ, আরিফুর রহমান, সেলিম সরদার, রবিউল ইসলাম হোসেন, অহিদুজ্জামান রানা, হাফিজুর রহমান, শাহানুর রহমান, ইলিয়াস মল্লিক, মল্লিক আবদুস সালাম, মনির হাসান, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, মনিরুজ্জামান লেলিন, আ. মালেক, এম শাহাদাত হোসেন, এম এ হাসান, মনিরুজ্জামান, সাইদ বিশ্বাস, আশরাফুল ইসলাম, আসাফুর রহমান, এস এম এমাদুল ইসলাম, নিত্যনন্দ, নাসিমা আক্তার, মোল্লা রিয়াজুল ইসলাম, আতিক নেওয়াজ, আছাফুর রহমান ও শফিক আহমেদ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম সদস য র ব এনপ র র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।
আরো পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা
সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী