বরিশালে ২ সাংবাদিককে মারধর করলেন ছাত্রদল নেতা, মোটরসাইকেলে আগুন
Published: 27th, March 2025 GMT
বরিশাল নগরীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় দুই সাংবাদিককে মারধর করে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে এ হামলা হয়।
জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত দুই সাংবাদিক। তারা হলেন- বরিশাল থেকে প্রকাশিত ভোরের আলো পত্রিকার নুরুল আমিন রাসেল ও বরিশাল মুখপাত্রের মনির হোসেন। তাদেরকে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার প্রতিবাদে অন্যান্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে বিচারের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা শান্ত হন।
আহত এন আমিন রাসেল জানান, মুলাদী উপজেলার আব্বাস নামক এক আওয়ামী লীগ নেতার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন শুনানি ছিলো। ছাত্রদল নেতা সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে একদল যুবক তাকে মারধর করতে আদালত চত্বরে যায়। এ খবর পেয়ে তিনি (আমিন) ও সহকর্মী ছবি তুলতে গেলে সোহেলের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পর মোটরসাইকেলটিতে আগুন দেয় হামলাকারীরা।
অভিযোগের বিষযে সোহেল রাঢ়ী বলেন, মুলাদীর আব্বাস দুইদিন আগে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাওন হাওলাদারকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় শাওন আববাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার আদালতপাড়া সংলগ্ন ফজলুল হক এভিনিউতে আব্বাসকে পেয়ে আটকের চেষ্টা করেন। তখন দুই সাংবাদিক এসে আব্বাসের পক্ষে এসে ছাত্রদল কর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ায়। তখন উত্তেজিত জনতা তার মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।
এ ঘটনার বিচার প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জাজামান ফারুক বলেন, দুই সাংবাদিককে মারধর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ডকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল ছ ত রদল ছ ত রদল বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিডিনির সমুদ্রসৈকতে বন্দুকধারীর হামলা, বহু হতাহতের শঙ্কা
অস্ট্রেলিয়ায় সিডনির বন্ডি সমুদ্রসৈকতে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে একাধিক ব্যক্তির হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। এতে সিডনিজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর বন্ডি সমুদ্রসৈকতে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। এ সময় ইহুদিদের ‘হানুক্কাহ’ উৎসব উপলক্ষে সৈকতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই দ্রুত পুলিশ উপস্থিত হয়। সৈকত থেকে শত শত মানুষ ছোটাছুটি করে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে দৌড়াতে থাকেন। প্রায় ৫০টির মতো গুলির শব্দ শোনা গেছে।
৩০ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা হ্যারি উইলসন এই বন্দুক হামলা স্বচক্ষে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অন্তত ১০ জনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছি। চারদিকে রক্ত ছিল। ঘটনার পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান শুরু করেছে।’
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে, পুলিশের গুলিতে একজন বন্দুকধারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ বন্ডি সৈকত এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয়দের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার এবং পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জরুরি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন
এই হামলার ঘটনায় পুরো সিডনি শহরে আতঙ্ক ছড়ালেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেদের এলাকায় নিরাপদে আছেন। সিডনি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত কাজ করছে।