চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার শ্রেয়াস আয়ারের দাপট দেখেছে বিশ্ব। ভাইকে উৎসাহ দিতে অধিকাংশ সময় গ্যালারিতে হাজির হয়েছেন তার বোন। ক্রিকেটাররাও তার বোনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নাম তার— শ্রেষ্ঠা আয়ার। চলতি বছরে বলিউডেও পা রেখেছেন এই অভিনেত্রী।

ভাই শ্রেয়াস ক্রিকেটজগতের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও খেলাধুলার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল না শ্রেষ্ঠার। শৈশব থেকেই নাচের প্রতি তার আকর্ষণ ছিল। নাচ নিয়ে প্রশিক্ষণও নেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে নাচেই ক্যারিয়ার গড়েন।

 

পেশায় নৃত্যপরিচালক (কোরিওগ্রাফার) শ্রেষ্ঠা আয়ার। বহু জায়গায় নাচের অনুষ্ঠান করতে দেখা গিয়েছে তাকে। মাঝেমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাচের ভিডিও পোস্ট করেন শ্রেষ্ঠা। নাচের পাশাপাশি মঞ্চনাটকেও অভিনয় করেন।

 

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মুম্বাইয়ের একটি নাটকের দলের হয়ে অভিনয় করেন শ্রেষ্ঠা। ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’ শিরোনামের নাটকে শকুন্তলার চরিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।

 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ‘ক্লস্ট্রোফোবিয়া’ নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। এ সিনেমার মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন শ্রেষ্ঠা।

 

চলতি বছরে বড় পর্দায় পা দিয়েছেন শ্রেষ্ঠা। ‘সরকারি বাচ্চা’ শিরোনামের এ সিনেমার আইটেম গানে পারফর্ম করেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘সরকারি বাচ্চা’ সিনেমা মুক্তি পায়। এ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে ‘এগ্রিমেন্ট কর লে’ শিরোনামের আইটেম গান। তাতে পারফর্ম করেছেন শ্রেষ্ঠা।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভক্ত-অনুরাগী তৈরি করেছেন শ্রেষ্ঠা। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা এখন দেড় লক্ষাধিক।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ