রূপগঞ্জে তারাব ইসলামি পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদের আয়োজনে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রূপসী এলাকার আল সাবিদ ডেন্টাল কেয়ারে এ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

তারাব পৌরসভার ইসলামি পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি খন্দকার মো: আল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড.

আয়নাল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের মহাসচিব লায়ন মীর আব্দুল আলীম। 

প্রধান অতিথি বলেন,তারাব ইসলামী পাঠাগার ও সমাজ কল্যান পরিষদ যেই পরিকল্পনা গ্রহন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তারাব ইসলামী পাঠাগারে ভালো ভালো বই রাখার কোন বিকল্প নেই।

আল কোরআন পাঠ করার বিষয়ে তিনি বলেন- আজকে কোরআন নিয়ে অন্য ধর্মের লোকেরা রিসার্চ করতেছে অথচ আমরা শুধু সওয়াবের আশায় কোরআন পাঠ করি আমরা যদি কোরআনকে সঠিকভাবে বুঝতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কোরআনের অর্থ বুঝতে হবে। ইসলামী পাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন এবং সকল ভালো কাজে পাশে থাকার আশা ব্যক্ত করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জজকোর্টের এপিপি এডভোকেট ইস্রাফিল হোসেন,সমাজ সেবক সহিদুল ইসলাম,রূপগঞ্জ থানা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নাজমুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূর আলম,সাংবাদিক আশিকুর রহমান হান্নান,রুবেল শিকদার, মাকসুদুল তুষারসহ অনেকে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ক রআন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ