‘শুক্রবার রাতের ব্লকবাস্টার’-ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের সরাসরি ধারাবিবরণীর শিরোনাম দিয়েছিল এটাই। কিন্তু চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে সেই ব্লকবাস্টার ‘বক্স অফিস’ কাঁপাতে পারেনি। ব্যাট-বলে বেঙ্গালুরুর কাছে চেন্নাইয়ের অসহায় আত্মসমর্পণে পুরোপুরি ফ্লপ গেছে শুক্রবার রাতের ব্লকবাস্টার!

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেঙ্গালুরু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েও শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে করেছে ১৯৬ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে তুলতে পেরেছে ১৪৬ রান। রুতুরাজ গায়কোয়াড়-মহেন্দ্র সিং ধোনির দল হেরেছে ৫০ রানের ব্যবধানে। বেঙ্গালুরুর এটা টানা দুই ম্যাচে দ্বিতীয় জয়।

দশে মিলে করি রান-চেন্নাইয়ের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর ইনিংসটা এগিয়েছে এই রীতি মেনে! সব মিলিয়ে ৯ জন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করেছেন। এর মধ্যে দুজন কোনো রান করেননি। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩ বল খেলে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। আর ভুবনেশ্বর কুমার ২ বল খেলে কোনো রান না করে ছিলেন অপরাজিত।

ফিফটির পর বেঙ্গালুরুর রজত পাতিদার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব লকব স ট র উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার