ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে পুঠিয়া উপজেলা অবস্থিত। এখানে রয়েছে প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের অফুরন্ত ভাণ্ডার। মোগল ও ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এসব পুরাকীর্তির সৌন্দর্য হৃদয় কাড়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। রাজশাহী শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বদিকে পুঠিয়া উপজেলা। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে বাসে করে রাজশাহীর প্রবেশমুখ পুঠিয়ায় আসা যায়। বিমান বা ট্রেনে রাজশাহীতে নেমে সহজেই আসা যায় পুঠিয়ায়। নারিকেল সুপারি আর জলদীঘি ঘেরা পুঠিয়ায় রয়েছে ১৮টি পুরাকীর্তি। মোগল ও বৃটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী এসব পুরাকীর্তি মাথা উঁচু করে জানান দিচ্ছে কালের সাক্ষী হয়ে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, সুলতানী আমলে পুঠিয়ার নাম ছিল লস্করপুর পরগনা। তখন এখানে আফগান জায়গীরদার লস্করখাঁর জমিদারি ছিল। ১৫৭৬ সালে মোঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মানসিংহের যুদ্ধজয়ের মাধ্যমে পুঠিয়া রাজবংশের উদ্ভব। কথিত আছে, বৎসাচার্য নামের এক তান্ত্রিক সাধক এখানে বাস করতেন। তার কাছে পরামর্শ নিয়ে বিনা রক্তপাতে লস্করখাঁকে পরাজিত করেন মানসিংহ। এরপর তিনি জমিদারি বৎসাচার্যকে দিতে চাইলে তিনি নিজে না নিয়ে তার ছেলে পীতাম্বরের নামে বন্দোবস্ত নেন। এই রাজবংশের নীলাম্বরকে সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজা এবং রানী শরৎ সুন্দরী ও তার পুত্রবধূ হেমন্ত কুমারীকে মহারানী উপাধি দেন বৃটিশ সরকার। ময়মনসিংহ, মুক্তাগাছা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, লালগোলা, খুলনা, রুপসা, চিলাহাটি, নাটোরের বেশকিছু এলাকা পুঠিয়া রাজার অধীনে ছিলো বলে জানা যায়। পুঠিয়া নামকরণে রয়েছে নানা মত। কথিত আছে, পুঠি বিবি নামের এক রাজ নর্তকীর নামে এই নামকরণ। তবে ভিন্নমতও রয়েছে।

পুঠিয়ার রাজা-মহারানীদের সময়ে নির্মিত পাঁচআনি রাজবাড়ী, টেরাকোটা কারুকাজ সমৃদ্ধ বড় গোবিন্দ মন্দির, হাজার দুয়ারি বা দোল মন্দির, বড় শিব মন্দির, ছোট আহ্নিক মন্দির, ছোট শিব মন্দির, রথ মন্দির, চারআনি রাজবাড়ি, বড় আহ্নিক মন্দির, ছোট গোবিন্দ মন্দির, গোপাল মন্দির, রানীঘাট, হাওয়াখানার সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। এসব পুরাকীর্তির নান্দনিক শিল্পকর্ম মানুষকে নিয়ে যায় অতীতে। পুঠিয়ার বড় গোবিন্দ মন্দিরের টেরাকোটার নকশায় হাজার বছর আগের কৃষ্ণের রাসলীলা, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ, রাম-রাবণের যুদ্ধে স্থির চিত্র প্রত্যক্ষ করা যায়।

নারিকেল সুপারি গাছ আর জলদীঘি ঘেরা পুরার্কীতির সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক পুঠিয়ায় বেড়াতে আসেন। একসঙ্গে রাজবাড়ি, মন্দির আর দীঘির জল মন ভালো করে দেয় মূহূর্তেই।

স্থানীয়রা জানান, দেশ স্বাধীনের কয়েক বছর পর পুঠিয়ার রাজবাড়ি ও মন্দিরগুলো অধিগ্রহণ করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। বিগত সরকারের আমলে রাজবাড়ি ও মন্দিরের হালকা সংস্কার কাজ করা হয়। এসময় রাজবাড়ীর মূল ভবনে জাদুঘর স্থাপন করা হয়। তবে উচ্ছেদ করা যায়নি রাজবাড়ীর সীমানার ভেতরের দখল হয়ে যাওয়া জমি। সেখানে অসংখ্য মানুষ জমিজমা দখল করে বাড়িঘর তৈরি করেছেন। এদের অনেকেই জাল দলিল করে সম্পত্তি ভোগ করছেন। এলাকাবাসীর দাবি, সবগুলো মন্দির সংস্কার ও সংরক্ষণের মাধ্যমে পুঠিয়াকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী ঘোষণা করার।

পুঠিয়া থিয়েটারের সদস্য সাংস্কৃতিক কর্মী নাসির উদ্দীন বলেন, পুঠিয়া রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের ভেতরের জায়গাগুলো অবৈধ দখলদারদের দখলে। এগুলো উচ্ছেদ করে আকর্ষণীভাবে সাজানো প্রয়োজন। তাহলে আরও বেশি পর্যটক পুঠিয়ায় আসবেন। তিনি বলেন, রাজাদের আমলে রাজবাড়ীর সুরক্ষার জন্য চারিদিকে পরিখা (পুকুর) খনন করে মাঝে রাজবাড়ী, মন্দির ও গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা তৈরি হয়েছিল। পরিখার ভেতরের জমি কোনো ব্যক্তির হতে পারে না।

পুঠিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাশীষ বসাক বলেন, রাজবাড়ীর সীমানার মাঝে অনেক বাড়িঘর হয়ে গেছে। আদালতে কিছু মামলা চলমান। নিষ্পত্তি হতে হবে। রেকর্ড সংশোধনের কিছু মামলা চলমান আছে। এছাড়া অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান আছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, পুঠিয়ার রাজা-জমিদাররা শুরুর দিকে প্রজাদরদি ছিলেন। মাঝে অত্যাচারী হিসেবে প্রজা বিরোধী কাজ করেছেন। তবে শেষ দিকে এসে শিক্ষার প্রসারসহ সমাজ উন্নয়নে অনেক অবদান রেখেছেন। ইউরোপীয় কায়দায় রাজশাহী শহরে ঢোপকল বসিয়ে প্রথম পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন পুঠিয়ার মহারানী হেমন্ত কুমারী। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দুর করাসহ রাজশাহীর উন্নয়নে অসংখ্য জনহিতকর কাজ করেন। দেশভাগের আগে বহুভাগে বিভক্ত হয়ে যায় পুঠিয়া জমিদারি। এসময় জমিদারদের অনেকেই কর্মচারীদের উপর দায়িত্ব দিয়ে কলকাতায় চলে যান। এরপর জমিদারিপ্রথা বিলুপ্ত হলে অবসান হয় পুঠিয়া রাজবংশের শাসন। তবে তাদের নির্মিত রাজবাড়ি ও মন্দিরগুলোর সৌন্দর্যের দিকে তাকালে এখনো পাওয়া যায় তাদের শিল্প ও রুচিবোধের পরিচয়।

বাঘা মসজিদ:
পুঠিয়া থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে, আর রাজশাহী শহর থেকে ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বদিকে ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদ অবস্থিত। সুলতান নাসির উদ্দিন নুসরাত শাহ ১৫২৩ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। ৫০ টাকার নোটে এই মসজিদের ছবি রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ২৫৬ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। ইট দিয়ে তৈরি প্রাচীন এই মসজিদটির চারপাশে ৪টি এবং মাঝখানে দুই সারিতে মোট ১০টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের পূর্ব পাশের ৫টি দরজা রয়েছে। এছাড়া উত্তর-দক্ষিণের দেয়ালের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাঘা মসজিদের ভেতরে এবং বাইরে প্রচুর পোড়া মাটিরফলক দেখতে পাওয়া যায়।

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর:
এবছর ১১৫ বছরে পা রেখেছে দেশের প্রথম ও প্রাচীন এই জাদুঘরটি। বর্তমানে এই জাদুঘরে রয়েছে প্রায় ১১ হাজার প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। ১৯১০ সালে কুমার শরৎকুমার রায়ের প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটি এখন বঙ্গীয় শিল্পকলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ সংগ্রাহশালা।

প্রাচীন গৌড়ীয় স্থাপত্যশৈলীর ধারায় নির্মিত এই জাদুঘর অল্পদিনের মধ্যেই বঙ্গীয় শিল্পকলার সমৃদ্ধ ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। প্রায় সাড়ে ১০ হাজার প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের মধ্যে এখানে রয়েছে ভাস্কর্য শিল্প (প্রস্তর, ধাতব, দারু), বিভিন্ন মুদ্রা (স্বর্ণ, রোপ্য, তাম্র ও মিশ্র ধাতুতে নির্মিত ছাপযুক্ত মৌর্য, ব্যাকট্রিয়, সাসানিয়ান, গুপ্ত, শশাঙ্ক, সুলতানী, সুরী ও মোগল মুদ্রা), শিলালেখ, তাম্রশাসন, পোড়ামাটির ফলক ও অন্যান্য মৃৎ শিল্প, পাণ্ডুলিপি, চিত্র শিল্প প্রভৃতি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মৌর্য, গুপ্ত ও পাল আমলের বৌদ্ধ, জৈন, শাক্ত, ব্রক্ষ, বৈষ্ণব, সৌর, শৈব, গাণপত্যসহ নানা দেব-দেবীর মূর্তি, নকশি পাথর, পোড়ামাটির ফলক, মৃৎভানু ছাড়াও রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা, মহাস্থান, নালন্দা (বিহার), পাহাড়পুরে প্রাপ্ত নিদর্শন, প্রাক মুসলিম ও মুসলিম আমলের শিলালেখ, তাম্রশাসন, ফরমান, দলিল ও রঙ্গিন চিত্রযুক্ত অষ্টসহস্রিকা ও প্রজ্ঞাপারমিতার মত দুর্লভ পুঁথি। এগুলো জনসাধারণ্যে প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন গ্যালারিতে সুবিন্যস্ত রয়েছে। এই জাদুঘরে সংগৃহীত প্রত্নতত্ত্ব সামগ্রীর সিংহভাগই প্রস্তর নির্মিত ভাস্কর্য। বাংলা মুসলিম শাসনে আসার পূর্ব পর্যন্ত প্রাচীন বাংলার প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন সংখ্যা প্রচুর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাঁকরাইল (মালদহ) ও নরহট্টের (বগুড়া) বিষ্ণু মূর্তি। এদের বসন-ভুষণ ও গঠনশৈলী দেখে তা কুষাণ যুগের মূর্তির অনুরূপ বলে মনে করা হয়। এছাড়া রাজশাহীর বিহারৈলে প্রাপ্ত সারনাথ রীতির বুদ্ধ মূর্তি গুপ্ত যুগের বলে প্রতীয়মান হয়। বগুড়ার দেওপাড়ার সূর্য মূর্তি ও বালাইধাপে প্রাপ্ত স্বর্ণমণ্ডিত মঞ্জুশ্রী মূর্তিতেও গুপ্ত যুগের  শিল্প বিদ্যমান। এই মূর্তির কামনীয় অথচ শান্ত সমাহিত অতীন্দ্রিভাবে পরিপূর্ণ মুখশ্রী। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লাবণ্য ও সুষমা, করাঙ্গুলি ও অধরযুগলের ব্যঞ্জনা এবং সমগ্র দেহের ভাব প্রবণতা দেখলে একে প্রাচীন বাংলার ভাস্কর্য শিল্পের শ্রেষ্ঠ নির্দশন বলে গ্রহণ করা যায়। এ থেকে অনুমান করা হয়, পালপূর্ব সময়কালে- মোর্য, কুষাণ ও গুপ্ত আমলে এখানে ধ্রুপদী শিল্পকলার চর্চা ছিল। এরই অব্যাহত ধারায় পাল আমলেও এসে বাংলার ভাস্কর্য শিল্পের চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়েছিল।

বরেন্দ্র জাদুঘরের একটি পুঁথি সংগ্রহশালাও রয়েছে। যেখানে অষ্টসহস্রিকা, প্রজ্ঞাপারমিতাসহ হস্তলিখিত বাংলা ও সংস্কৃত সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজারের মতো। এছাড়া এই জাদুঘরে প্রায় ১৪ হাজার দুষ্প্রাপ্য বই ও পত্রিকা সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। এখানে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পান। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই জাদুঘরটি জ্ঞানান্বেষীদের আকৃষ্ট করে আসছে। এই জাদুঘর পরিদর্শনে এসেছিলেন ভারতীয় রাজনীতির প্রবাদপুরুষ মহাত্মা গান্ধী, সুভাষ চন্দ্র বসু, বাংলার গভর্ণর লর্ড কারমাইকেল, লর্ড রোনান্ডস, লর্ড লিটন, ইতিহাসবেত্তা পার্সি ব্রাউন, স্টেলা ক্র্যামরিশ, শিক্ষাবিদ স্যার স্টেইনলি জ্যাকসন, স্যার আশুতোষ মুখার্জী প্রমুখ।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় এই জাদুঘরটি আর্থিক অসচ্ছলতা, ক্রটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য হুমকির মুখে পড়ে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য ১৯৬৪ সালের ১০ অক্টোবর এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গৃহীত হয়। বর্তমানে জাদুঘরটি পরিচালনার জন্য ১৪ সদস্যর একটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে। পদাধিকার বলে এই কমিটির সভাপতি উপাচার্য।

পদ্মাপাড়ের প্রাচীন শহর রাজশাহী:
বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর রাজশাহী। এটি উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এবং বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম জনবহুল শহর। রাজশাহী শহর পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে এশিয়ার অনেক শহরের চেয়ে সুনাম রয়েছে রাজশাহীর। রাতের রাজশাহী শহরে জ্বলে রঙ বেরঙয়ের আলোকবাতি। প্রাচীন বিভাগীয় এই  শহরটি শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত। এছাড়া রাজশাহী রেশম, আম, লিচু ও জন্য প্রসিদ্ধ। রেশম কাপড়ের জন্য রাজশাহী রেশম নগরী নামেও পরিচিত। শিক্ষার প্রসারে রাজশাহী শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী কলেজ বিখ্যাত। দুই বাংলার অনেক বিখ্যাত রাজনীতিবিদ, পন্ডিতরা এখানে পড়াশোনা করেছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের সৌন্দর্য খুবই চমৎকার। ৬৯ সালের গণঅভ্যুথানের প্রথম শহীদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.

শামসুজ্জোহা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশন ভবনের সামনে রয়েছে তার সমাধিস্থল। রাজশাহী শহরের পাশদিয়ে বয়ে চলেছে পদ্মা নদী। নদীর পাড়ে টি-বাধ, আই বাধে বসে নদীর রুপ প্রতিদিন উপভোগ করেন হাজারো মানুষ।

রাজশাহীর আশেপাশেই আরো যা দেখবেন:
রাজশাহী শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার এবং পুঠিয়া থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বদিকে নাটোর রাজবাড়ী। ১৭০৬ সালে নাটোর রাজবংশের উদ্ভব হয়। এই বংশের প্রথম রাজা রামজীবন চৌধুরী। তার পুত্রবধূ ছিলেন বিখ্যাত রানী ভবানী। স্বামীর মৃত্যুর পর বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ রানী ভবানীকে জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব দেন।

এর প্রায় চার কিলোমিটার দুরে দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ী বা উত্তরা গণভবন। আঠারো শতকে এখানে ছিলো দিঘাপাতিয়া মহারাজার বাস। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খান এটিকে গভর্নর ভবন হিসেবে উদ্বোধন করেন। ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে মন্ত্রীসভার বৈঠক আহবান করেন। তখন থেকে রাজবাড়ী উত্তরা গণভবন নামকরণ করা হয়।

মহাস্থানগড়:
রাজশাহী শহর থেকে ১৩০ কিলোমিটার পূর্বদিকে প্রাচীন বাংলার রাজধানী মহাস্থান গড় অবস্থিত। যিশু খ্রিস্ট্রের জন্মের আগে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল। এখানে প্রাচীন বাংলার লোকগাঁথা বেহুলা-লক্ষীন্দরের বাসরঘর ছিল। ২০১৬ সালে এটিকে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করা হয়।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার:
রাজশাহী শহর থেকে ১০২ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার। প্রাচীন আমলে এখানে ছিল বৌদ্ধদের আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষা কেন্দ্র ছিল। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি প্রদান করে।

সোনামসজিদ:
রাজশাহী শহর থেকে ৮৩ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে শিবগঞ্জে দেশের অন্যতম প্রাচীন সোনা মসজিদ অবস্থিত। সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহের শাসনামলে ১৪৯৪ থেকে ১৫১৯ সালের মধ্যে ওয়ালী মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন। সুলতানী স্থাপত্যের রত্ন বলা হয় এই মসজিদকে।

রাজশাহীতে থাকা খাওয়া:
রাজশাহী শহরে রয়েছে বেশ কিছু নামি আবাসিক হোটেল। এর মধ্যে রাজশাহীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে রয়েছে চারতারকা হোটেল গ্র্যান্ড রিভারভিউ। এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া রয়েল রাজ, হোটেল এক্স, হোটেল নাইস, হোটেল মুন, হোটেল মুক্তাসহ বেশ কিছু হোটেলে রাত্রী যাপন করতে পারবেন। রাজশাহী সিটিহাট কিংবা নওহাটায় গিয়ে গরুর মাংসের কালাভুনা খেতে পারেন। মড়মড়িয়ায় গিয়ে সেখানকার বিখ্যাত হাঁসের মাংসের কালাভুনার স্বাদও নিতে পারেন একদিন। এছাড়া শহরের বিভিন্ন রেঁস্তোরা ঘুরে খেতে পারেন পদ্মানদীর টাটকা মাছ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ রমণ র স ন দর য ন র জন য ভ স কর য শহর থ ক জ দ ঘরট অবস থ ত র অন ক মন দ র মসজ দ প রথম শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

সার্চ দুনিয়ার নতুন দিগন্ত জিইও: দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কী প্

ইন্টারনেট সার্চ দুনিয়ায় চলছে নীরব এক বিপ্লব। তথ্য খোঁজার ধরন বদলে যাচ্ছে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত। আগে যেখানে গুগলে উচ্চ র‌্যাংকিং মানেই ছিল সাফল্য, এখন সেই জায়গা নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-নির্ভর সার্চ টুল।

সার্চ জগতের নতুন চ্যালেঞ্জ

চ্যাটজিপিটি, গুগল জেমিনি, মাইক্রোসফট কপিলট কিংবা পারপ্লেক্সিটি এআই-এগুলো আর শুধু সার্চ ইঞ্জিন নয়, বরং উত্তর তৈরিকারক ইঞ্জিন। ব্যবহারকারী এখন শুধু ‘লিংক’ নয়, বরং সরাসরি উত্তর পেতে চায়। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্যই এসেছে নতুন এক কৌশল- জিইও বা জেনারেটিভ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

জিইও কী?

জিইও (জেনারেটিভ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আপনার ওয়েবসাইট ও কনটেন্ট এমনভাবে সাজানো হয় যাতে এআই-চালিত সার্চ ইঞ্জিন সহজেই আপনার তথ্য চিনতে, বুঝতে এবং ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তরে সেটি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

আগে ব্র্যান্ডগুলোর ফোকাস ছিল গুগলের প্রথম পাতায় জায়গা করে নেওয়া। কিন্তু এখন গুরুত্ব পাচ্ছে- চ্যাটজিপিটি বা জেমিনি-এর উত্তরে আপনার ব্র্যান্ডের নাম আসছে কি না!

এসইও বনাম জিইও: সার্চ দুনিয়ার নতুন যুগের পালাবদল

অনেকেই এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এবং জিইও (জেনারেটিভ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এক মনে করেন, কিন্তু এদের মধ্যে মূলত লক্ষ্য ও কৌশল ভিন্ন। এসইও হচ্ছে পুরোনো পদ্ধতি, অন্যদিকে জিইও হচ্ছে নতুন পদ্ধতি।

* মূল লক্ষ্য
এসইও: সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক বাড়ানো
জিইও: এআই সার্চের উত্তরে দৃশ্যমান হওয়া

* কাজের ধরন
এসইও: কিওয়ার্ড ও ব্যাকলিংক ভিত্তিক
জিইও: কনটেক্সট, প্রাসঙ্গিকতা ও ব্র্যান্ড অথরিটি নির্ভর

* ফলাফল
এসইও: ক্লিক ও ট্রাফিক বৃদ্ধি
জিইও: ব্র্যান্ড উল্লেখ ও আস্থা বৃদ্ধি

* প্ল্যাটফর্ম
এসইও: গুগল, বিং ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিন
জিইও: চ্যাটজিপিটি, জেমিনি, পারপ্লেক্সিটি, এসজিই ইত্যাদি এআই সার্চ

এসইও এখনও গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ভবিষ্যতের সার্চ ইকোসিস্টেমে জিইও সমান অপরিহার্য হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশি ব্যবসার জন্য জিইও-এর গুরুত্ব

বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিক্ষা, ট্রাভেল, স্বাস্থ্যসেবা, ই-কমার্স, রিয়েল এস্টেট- প্রায় প্রতিটি খাতেই ব্যবসা অনলাইনে আরো দৃশ্যমান হতে চাচ্ছে। কিন্তু বদলেছে মানুষের সার্চ করার ধরন। এখন তারা শুধু গুগলে সার্চ করেই সন্তুষ্ট থাকছে না, তারা এআই-চালিত সার্চ টুলগুলো যেমন চ্যাটজিপিটি, জেমিনি বা পারপ্লেক্সিটি-এর মাধ্যমে সরাসরি উত্তর খুঁজছে। 

গার্টনারের এক গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রচলিত সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ ভলিউম প্রায় ২৫ শতাংশ কমে যাবে- কারণ ব্যবহারকারীরা দ্রুতই এআই-চালিত সার্চ ও চ্যাটবটের দিকে ঝুঁকছে। (তথ্যসূত্র: Gartner, “Search Engine Volume Will Drop 25% by 2026, Due to AI Chatbots and Other Virtual Agents)

তবে এই পরিবর্তনের প্রভাব ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, কেউ চ্যাটজিপিটি-তে লিখল, ‘ঢাকায় সেরা অ্যাকাউন্টিং ফার্ম কোনটি?’ যদি আপনার কোম্পানির নাম বা কনটেন্ট এআই-এর তৈরি উত্তরে না আসে, তাহলে সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট ও ব্যবসার সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে।

মূলত এখানেই জিইও-এর গুরুত্ব উঠে আসে। জিইও ব্যবহার করে কনটেন্ট এমনভাবে সাজানো যায় যাতে এআই সার্চ সিস্টেম আপনার ব্র্যান্ডকে সহজেই চিনতে পারে, বুঝতে পারে এবং ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করে। অর্থাৎ, বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যবসা যদি এআই-এর দুনিয়ায় দৃশ্যমান থাকতে চায়, জিইও’র সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এখন আর বিকল্প নয়- এটি একান্ত প্রয়োজন।

জিইও’র জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

জেনারেটিভ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (জিইও) কোনো একদিনে শেখার মতো বিষয় না- এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যেখানে ব্যবসাগুলোকে নিজেদের কনটেন্ট, উপস্থিতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা এআই-বান্ধব করে গড়ে তুলতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে দেখা যাক, কীভাবে আপনি জিইও’র পথে প্রস্তুত হতে পারবেন।

১. অনলাইন উপস্থিতি যাচাই করুন

জিইও’র প্রথম ধাপ হলো আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের বর্তমান অনলাইন উপস্থিতি যাচাই করা। চ্যাটজিপিটি বা পারপ্লেক্সিটি-এর মতো এআই-চালিত সার্চ টুলে সার্চ দিন ‘বাংলাদেশে সেরা (আপনার ইন্ডাস্ট্রি)-এর কোম্পানিগুলো কোনগুলো?’

যদি সার্চের উত্তরে আপনার নাম না আসে, বোঝা যাবে যে আপনার এআই-দৃশ্যমানতা এখনও সীমিত। এই ক্ষেত্রে আপনাকে জিইও অনুযায়ী কনটেন্ট ও অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে কাজ শুরু করতে হবে।

২. বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করুন

জেনারেটিভ এআই সার্চ সিস্টেম সেই উৎসকেই অগ্রাধিকার দেয়, যা নির্ভরযোগ্য ও যাচাইযোগ্য। তাই আপনার ওয়েবসাইটে ব্র্যান্ড, টিম, যোগাযোগ ও রিভিউসহ সব তথ্য সম্পূর্ণ ও স্বচ্ছ রাখুন।

গুগল বিজনেস প্রোফাইল নিয়মিত আপডেট করুন-  ঠিকানা, সময়, পোস্ট ও রিভিউসহ।

বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যম ও ব্লগে ব্র্যান্ডের উল্লেখ বাড়ান।

E-E-A-T (Experience, Expertise, Authoritativeness, Trustworthiness) বজায় রাখুন।

এভাবেই এআই ও ব্যবহারকারীর কাছে আপনার ব্র্যান্ড একটি বিশ্বাসযোগ্য সোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে- যা জিইও সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

৩. কনভারসেশনাল কনটেন্ট লিখুন

এআই সার্চ এখন ব্যবহারকারীর প্রশ্নভিত্তিক অনুসন্ধানকে গুরুত্ব দেয়। তাই আপনার কনটেন্ট তৈরি করুন এমনভাবে যেন এটি প্রাকৃতিক প্রশ্ন ও কথোপকথনের মতো শোনায়। উদাহরণ: ‘Where can I find a trusted IELTS coaching center in Dhaka?’ ‘Where can I apply for a blue-collar job?’ এ ধরনের কনটেন্ট এআই-এর চোখে আরো সহজে বোঝার মতো হয় এবং ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তর হিসেবে উল্লেখযোগ্য।

৪. বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকুন

এআই শুধু ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে না। এটি ফেসবুক, ইউটিউব, লিংকডইন, কোরা এবং অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকেও তথ্য সংগ্রহ করে। তাই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আপনার উপস্থিতি নিশ্চিত করা জিইও-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৫. এসইও এবং জিইও একসাথে ব্যবহার করুন

ডিজিটাল দুনিয়ায় এখন শুধু সার্চ র‌্যাংকই যথেষ্ট নয়। এসইও যেমন গুগল সার্চে আপনার কনটেন্টকে শীর্ষে নিয়ে আসে, তেমনি নতুন যুগের জিইও (জেনারেটিভ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) আপনার ব্র্যান্ডকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সার্চে আরো দৃশ্যমান করে তোলে।

এসইও মূলত গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের অবস্থান উন্নত করে, আর জিইও শেখায়- কীভাবে এআই মডেলগুলো আপনার ব্র্যান্ডকে চিনবে, উল্লেখ করবে এবং বিশ্বাস করবে।

দুটি কৌশল একসাথে প্রয়োগ করলে অনলাইন উপস্থিতি অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। একদিকে সার্চে দৃশ্যমানতা বাড়ে, অন্যদিকে এআই-নির্ভর প্ল্যাটফর্মগুলোতেও আপনার ব্র্যান্ডের নাম উঠে আসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

ভবিষ্যতের সার্চ জগতে টিকে থাকতে হলে এখনই সময়- এসইও এবং জিইও-কে একসাথে কাজে লাগানোর।

বাংলাদেশের ব্যবসার জন্য জিইও’র নতুন সম্ভাবনা

জিইও বাংলাদেশের ব্যবসাগুলোর জন্য হতে পারে এক গেম চেঞ্জার। আগে যেখানে অনলাইন দৃশ্যমানতা মানেই ছিল গুগলে র‌্যাংক করা, এখন সেটি ধীরে ধীরে স্থান ছেড়ে দিচ্ছে এআই সার্চ ভিজিবিলিটি–কে।

আজ যদি কোনো ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটি বা জেমিনি-তে জিজ্ঞেস করে- 

‘বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য অনলাইন বই বিক্রির সাইট কোনটা?’

অথবা, ‘ঢাকায় সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি কারা?’

যদি আপনার ব্র্যান্ডের নাম সেই উত্তরে উঠে আসে, সেটিই হবে প্রকৃত দৃশ্যমানতা- শুধু ক্লিক নয়, বরং আস্থা, প্রভাব ও ব্র্যান্ড অথরিটি–এর প্রতিফলন।

বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন শত শত নতুন অনলাইন ব্যবসা শুরু হচ্ছে- ই–কমার্স, এডুকেশন, হেলথটেক, রিয়েল এস্টেট, ফাইন্যান্স, এমনকি ছোট স্টার্টআপরাও দ্রুত ডিজিটাল হচ্ছে। কিন্তু একইসঙ্গে প্রতিযোগিতাও বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণে।

এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে শুধু এসইও নয়, জিইও–কেন্দ্রিক কৌশলও অপরিহার্য।

জিইও’র ভবিষ্যৎ

খুব শিগগিরই এআই সার্চ টেক্সটের বাইরে গিয়ে ভয়েস, ভিডিও ও ইমেজ কনটেন্ট থেকেও উত্তর তৈরি করবে। তখন জিইও কেবল ওয়েবসাইট নয়, বরং ভিডিও, পডকাস্ট, সোশ্যাল প্রোফাইল, নিউজ রিপোর্ট- সবকিছুর মধ্যেই প্রভাব ফেলবে।

তাই এখন থেকেই যারা জিইও-কেন্দ্রিক কৌশল গ্রহণ করবে, ভবিষ্যতের সার্চ রেভোলিউশনে নেতৃত্ব দেবে তারাই।

উপসংহার

জেনারেটিভ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (জিইও) শুধু নতুন ট্রেন্ড নয়- এটি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের পরবর্তী অধ্যায়।

এসইও যেমন আপনাকে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে যায়, জিইও তেমনি আপনাকে নিয়ে যাবে এআই–এর উত্তরে।

‘ভবিষ্যতের সার্চে র‌্যাংক নয়, ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতাই হবে সাফল্যের আসল মাপকাঠি।’

লেখক: হেড অব ওয়েব অ্যানালাইসিস অ্যান্ড এসইও ডিরেক্টর, ইন্টেলেক আইটি এলএলসি (ইউএসএ অ্যান্ড বাংলাদেশ)

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ