অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ভারতকে তুলোধুনা করা কনস্টাস
Published: 1st, April 2025 GMT
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম ম্যাচেই নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছিলেন স্যাম কনস্টাস। ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে দারুণভাবে সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। সেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে এবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা করে নিয়েছেন এই তরুণ ওপেনার।
২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কনস্টাসসহ মোট ২৩ জন ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। নতুন করে চুক্তিতে সুযোগ পেয়েছেন আরও দুই ক্রিকেটার—স্পিনার ম্যাথু কুনেমান ও অলরাউন্ডার বো ওয়েবস্টার।
বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে অভিষেকেই আলো ছড়ান কনস্টাস। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে তার ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস সিরিজের গতিপথ পাল্টে দেয়। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বুমরাহকে নির্ভয়ে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে চাপে ফেলেন তিনি। সেই আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্সের পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জিতে ৩-১ ব্যবধানে এবং জায়গা করে নেয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।
এদিকে, ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা মিচেল মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিন নিজেদের চুক্তির জায়গা ধরে রেখেছেন। তিন ফরম্যাটে না খেললেও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথ, উসমান খাজা ও নাথান লায়ন।
অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা: প্যাট কামিন্স, স্টিভেন স্মিথ, নাথান লায়ন, অ্যালেক্স ক্যারি, স্যাম কনস্টাস, জশ হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্ক, নাথান এলিস, জাই রিচার্ডসন, স্কট বোল্যান্ড, ল্যান্স মরিস, ম্যাথু কুনেমান, অ্যাডাম জাম্পা, ট্রাভিস হেড, ম্যাট শর্ট, জশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মারনাস লাবুশেন, উসমান খাজা, মিচেল মার্শ, বো ওয়েবস্টার, ক্যামেরন গ্রিন ও জাভিয়ের বার্টলেট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স য ম কনস ট স কনস ট স
এছাড়াও পড়ুন:
ধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা
বয়স ৪৪, শরীরও আর আগের মতো চলছে না। তবু মহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ছাড়েননি। সর্বশেষ মৌসুমে খেলেছেন, শোনা যাচ্ছে, পরের মৌসুমেও খেলবেন। অথচ তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স বলছে, সময় ফুরিয়েছে। তবু তিনি খেলে যাচ্ছেন কেন? ক্রিকেট ছাড়তে পারছেন না তাই? নাকি খ্যাতির মোহ? সত্যিটা এসবের চেয়েও বড়—ধোনি এখন শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি বিশাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের মূল স্তম্ভ, যাঁর বিদায় মানে অনেক কিছুর ধস।
চলুন দেখা যাক, কীভাবে ধোনির একটুখানি মাঠে থাকা বদলে দেয় বিশাল অঙ্কের হিসাব।২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২০২৫ আইপিএল ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে মৌসুম। পয়েন্ট তালিকায় একেবারে তলানিতে থেকে মৌসুম শেষ করেছে তারা। কিন্তু অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার, এর কোনো প্রভাবই পড়েনি সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালুতে; বরং সামান্য বেড়েছে!
হুলিহ্যান লোকির ‘আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি ২০২৫’ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৫ সালে সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ২০২৪ সালে ছিল ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। যদিও আইপিএলের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজির র্যাঙ্কিংয়ে চেন্নাই ১ নম্বর থেকে তিনে নেমে গেছে, কিন্তু সেটা পুরোপুরি মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে নয়।
তুলনা করে দেখা যাক—রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) প্রথমবার আইপিএল জেতায় তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে, উঠে এসেছে ১ নম্বরে। অথচ সিএসকে কিছু না করেই সেরা তিনে আছে শুধু একজনের জন্য—ঠিক ধরেছেন, এম এস ধোনি!
২০২৩ আইপিএলের একটি মুহূর্তই বলে দেয়, ধোনির উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ৩ বল খেলেছিলেন ধোনি, করেছিলেন ১২ রান। তাতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিউয়ারশিপ পৌঁছায় ১ কোটি ৭০ লাখে, যা ছিল সে মৌসুমের সর্বোচ্চ। এমনকি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের ১ কোটি ৬০ লাখ ভিউয়ারকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ধোনির সেই ৩ বল স্থায়ী ইনিংসটা!
টিএএম মিডিয়া রিসার্চ বলছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ধোনি দিনে গড়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ১৪ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম ধরে রেখেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ৪২টি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করেছেন, যা অমিতাভ বচ্চন (৪১) ও শাহরুখ খানের (৩৪) চেয়েও বেশি।