মাধবপুরে কৃষি রাবার ড্যামে দর্শনার্থীদের ভিড়
Published: 1st, April 2025 GMT
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী রাবার ড্যাম এখন দর্শনার্থীদের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু পরিণত হয়েছে। ঈদের দিন সকাল থেকে সোনাই নদীর সবুজ শ্যামল তীরে দর্শনার্থীরা দলবেঁধে আসতে শুরু করেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে মানুষের ভিড় আরও বাড়তে দেখা যায়। ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় আরও বাড়ছে। সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনের আগমন ঘটেছে রাবার ড্যামে।
রাবার ড্যামের কর্মকর্তারা বলছেন, চৌমুহনী রাবার ড্যামকে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে পারলে প্রতি বছর এখানে হাজারও দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটবে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ঈদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে হাজার হাজার মানুষ সোনাই নদীর পাড়ে রাবার ড্যামে ভিড় করেন। সোনাই নদীর রাবার ড্যামটি অকোজো হয়ে পড়ায় এখন নদীতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। যতটুকু পানি আছে তাতেই দর্শনার্থীরা খুশি।
চৌমুহনী রাবার ড্যাম সভাপতি সায়েদুর রহমান জানান, চৌমুহনী ও বহরায় সোনাই নদীর ওপর প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৩ সালে রাবার দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হয়। খরা মৌসুমে রাবার ফুলিয়ে নদীতে পানি জমাট করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদী তীরবর্তী ২০/২৫টি গ্রামের কমপক্ষে ৫ হাজার কৃষক এই পানি ব্যবহার করে বোরো ধানসহ বিভিন্ন রবি শস্য চাষাবাদ করে থাকেন। এ ছাড়া ঈদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ছুটির দিনে নদীতে নেমে মানুষ সাঁতার কাটেন। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা গেলে এ খাত থেকে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। কারণ, মাধবপুরে স্থানীয়ভাবে বিনোদনের জন্য এটি একটি ভাল জায়গা। আমরা এ ব্যাপারে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাইব।
স্থানীয় চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান সোহাগ বলেন, প্রতি বছর ঈদ ও নববর্ষে এবং জাতীয় দিবসে দর্শনার্থীদের পদচারণায় রাবার ড্যাম নদী মুখরিত হয়ে উঠে।। আগত এ সকল দর্শনার্থীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ নদীর স্বচ্ছ জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে ওঠেন। নদীতে কেউ গোসল করছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ নৌকায় চড়ে নদীর ঢেউ উপভোগ করছেন। মানুষের আগমনকে ঘিরে এখানে অনেক দোকানপাট গড়ে ওঠে।
বিজয়নগর ইসলাম পুর থেকে রাবার ড্যামে বেড়াতে আসা রফিকুল নামে একজন দর্শনার্থী বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে পরিবার নিয়ে তিনি রাবার ড্যাম সোনাই নদী দেখতে এসেছেন। তার বেশ ভালো লাগছে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহেদ বিন কাশেম বলেন, চৌমুহনী রাবার ড্যামে অনেক দর্শানর্থীদের আগমন ঘটে। এটির পরিবেশসম্মত উন্নয়ন করতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ধবপ র স ন ই নদ র ম ধবপ র চ ম হন
এছাড়াও পড়ুন:
ভিনগ্রহের প্রাণীদের পৃথিবীতে আগমন নিয়ে যা ভাবেন ইলন মাস্ক
প্রযুক্তি জগতের আলোচিত ব্যক্তিত্ব ইলন মাস্ক ভিন্নগ্রহের প্রাণী বা ইউএফও দেখা নিয়ে নতুন এক তথ্য দিয়ে চমক তৈরি করেছেন। অনেকেই ভিনগ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীতে আসছে বলে বিশ্বাস করলেও ইলন জানিয়েছেন, তিনি বা তাঁর সংস্থা স্পেসএক্সের কেউই ভিনগ্রহের প্রাণীর আগমনের কোনো প্রমাণ পাননি। বেশির ভাগ ইউএফও ঘটনা ব্যাখ্যাহীন ঘটনা। উন্নত সামরিক প্রকল্প বা সাধারণ বস্তু থেকে বিভ্রান্তি তৈরি হয় বলে জানান ইলন মাস্ক।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মাস্ক বলেন, যদিও আকাশে অদ্ভুত বস্তু দেখা যাওয়ার খবর প্রায়ই শিরোনাম হয়, তবে এর আসল ব্যাখ্যা সাধারণত নাটকীয় হয় না। তাঁর মন্তব্যের কারণে ইউএফও এলিয়েন জীবনের প্রমাণ নাকি কেবল ভুল বোঝা—তা নিয়ে নতুন আলাপ শুরু হয়েছে। মাস্ক বলেছেন, তিনি বা স্পেসএক্সের শীর্ষস্থানীয় দলের কেউই কখনো ভিনগ্রহের প্রাণীর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখেননি। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স হাজার হাজার রকেট ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে এবং মহাকাশে অসংখ্য বস্তু অনুসরণ করে চলেছে। মাস্ক যুক্তি দেন, যদি ভিনগ্রহের প্রাণীরা সত্যিই পৃথিবীতে আসত, তবে যাঁরা প্রতিদিন আকাশ পর্যবেক্ষণ করে তারাই প্রথম জানতে পারতেন।
ইলন মাস্ক আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউএফও দেখার বেশির ভাগ ঘটনার পেছনে সম্ভবত স্বাভাবিক ও সাধারণ কারণ রয়েছে। এর মধ্যে গোপনীয় মার্কিন সামরিক বিমান, হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা বা অন্যান্য উন্নত প্রতিরক্ষা প্রকল্পকে মানুষ ভুল বুঝতে পারে। সাধারণ মানুষের কাছে এসব রহস্যময় মনে হতে পারে, কিন্তু মহাকাশশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাছে সেসব এলিয়েন নয়।
মার্কিন সরকারের তদন্তকারীরাও বছরের পর বছর ধরে একই কথা বলে আসছেন। মাস্ক বলেন, বেশির ভাগ ইউএফও রিপোর্ট ড্রোন, বেলুন, আলোক প্রতিফলন বা এমনকি সেন্সরের ত্রুটি হিসেবে দেখা যায়। জনগণের কাছে যা অবিশ্বাস্য মনে হয়, বিশেষজ্ঞদের কাছে তা প্রায়ই খুব সাধারণ।
মাস্কের মন্তব্য পেন্টাগনের অল-ডোমেইন অ্যানোমালি রেজল্যুশন অফিসের অনুসন্ধানের সঙ্গে মিলে যায়। এই সংস্থা ৮০০টির বেশি ইউএফওর ঘটনা নিয়ে কাজ করে ভিনগ্রহের প্রাণীর কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ইউএফও মনে করা বস্তুর পেছনে সাধারণ ভিন্ন কোনো ব্যাখ্যা রয়েছে, ভিনগ্রহের জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই।
ইউএফওর গল্পকে ভুল প্রমাণিত করলেও মাস্ক মহাবিশ্বের জীবন অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেন। মঙ্গল গ্রহে অভিযান, গভীর মহাকাশ যান পাঠানো ও ভবিষ্যতের টেলিস্কোপ হয়তো একদিন অন্য কোথাও জীবনের লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে বলে মনে করেন ইলন মাস্ক। ইলন বলেন, মানুষের কল্পনাকে প্রমাণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া