রাজবাড়ীতে শোবার ঘর থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলিজয়পুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সালমা খাতুন (২৮) একই গ্রামের সৌদি আবর প্রবাসী আজাদের স্ত্রী। রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়‌দের বরা‌তে তিনি বলেন, ‘‘ঈদের দিন রা‌তে দুই সন্তান‌কে নি‌য়ে ঘ‌রে ঘুমাতে যান সালমা। সকালে তার শাশুড়ি ঘুম থে‌কে উঠে দেখেন, ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে গিয়ে সালমার গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন; পাশে শিশু সন্তান দুটি ঘুমেই ছিল। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়।’’

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ১

দিনাজপুরে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার  

ওসি আরো বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কে বা কারা তাকে হত্যা করছে, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’’

ঢাকা/রবিউল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ