গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এতে শিক্ষক–কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ করা হবে। আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ২৪ এপ্রিল। চাইলে আপনিও আবেদন করতে পারেন।

যেসব পদে লোক নিয়োগ

১. কম্পট্রোলার

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০/- (গ্রেড-৩)

২. সহযোগী অধ্যাপক

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০/- (গ্রেড-৪)

আরও পড়ুনপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫২৩ মার্চ ২০২৫

৩.

সহযোগী অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০/- (গ্রেড-৪)

৪. সহযোগী অধ্যাপক, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগ

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০/- (গ্রেড-৪)

৫. প্রভাষক

ক) পুরকৌশল বিভাগ: ২টি

খ) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ: ২টি

গ) যন্ত্রকৌশল বিভাগ: ২টি

ঘ) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: ২টি

ঙ) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: ২টি

চ) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: ৩টি

ছ) ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড ম্যাটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: ৩টি

প্রভাষক পদের বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- (গ্রেড-৯)

৬. ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি

পদসংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০/- (গ্রেড-৫)

৭. ইনস্ট্রুমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, প্রকৌশল অফিস

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২৯,০০০-৬৩,৪১০ /- (গ্রেড-৭)

৮. পাবলিকেশন কাম ইনফরমেশন অফিসার, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অফিস

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- (গ্রেড-৯)

৯. ড্রাফটিং ইনস্ট্রাক্টর, আর্কিটেকচার বিভাগ

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- (গ্রেড-৯)

আরও পড়ুনপিএসসির নন-ক্যাডারে চাকরির সুযোগ, ৯ম ও ১০ম গ্রেডে পদ ৭৯২৯ মার্চ ২০২৫

১০. ডকুমেন্টশন অফিসার, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- (গ্রেড-৯)

১১. সেকশন অফিসার

ক) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ: ১টি পদে

খ) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ: ১টি পদে

গ) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল: ১টি পদে

ঘ) রেজিস্ট্রার অফিস (কাউন্সিল শাখা-১, শিক্ষা শাখা-১): ২টি পদে

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- (গ্রেড-৯)

১২. সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট অফিসার, পরিচালক (যানবাহন) অফিস

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- (গ্রেড-১)

১৩. টেকনিক্যাল অফিসার, পুরকৌশল বিভাগ

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- (গ্রেড-৯)

১৪. প্রকিউরমেন্ট অফিসার, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অফিস

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- (গ্রেড-৯)

১৫. পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অফিস

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/- (গ্রেড-৯)

১৬. সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার, যন্ত্রকৌশল বিভাগ

পদসংখ্যা: ২

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০/- (গ্রেড-১০)

১৭. ড্রাফটস্ম্যান, যন্ত্রকৌশল বিভাগ

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০/- (গ্রেড-১০)

১৮. উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল), প্রকৌশল অফিস

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০/- (গ্রেড-১০)

১৯. সিনিয়র অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর, রেজিস্ট্রার অফিস

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০/- (গ্রেড-১৩)

২০. টেকনিশিয়ান

ক) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ: ১টি পদে

খ) যন্ত্রকৌশল বিভাগ: ১টি পদে

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০/- (গ্রেড-১৩)

মডেল: ইয়াসফি, সিফাত, নুসরাত ও রিয়া

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অফ স র ল অফ স

এছাড়াও পড়ুন:

অনশনের পর ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ক

নিরাপত্তার অজুহাতে গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির ছয়জন সমন্বয়ককে। আটক থাকার এক পর্যায়ে তাঁরা অনশন শুরু করেন। ৩২ ঘণ্টা অনশনের পর ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) দুপুরে ছয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয় থেকে কালো রঙের দুটি গাড়িতে করে যাঁর যাঁর ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও আবু বাকের মজুমদারকে ছয় দিন; সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে পাঁচ দিন এবং নুসরাত তাবাসসুমকে চার দিন ডিবি কার্যালয়ে তখন আটক রাখা হয়েছিল। এই ছয় সমন্বয়কের মধ্যে নাহিদ এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক। আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। সারজিস, হাসনাত ও নুসরাত এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আবু বাকের এখন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক।

ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার সেই ঘটনা সম্পর্কে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আমার বোনের বাসার লোকেশন (ঠিকানা) দিয়েছিলাম ডিবিকে। ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) ডিবি তাদের তত্ত্বাবধানেই আমাদের ছয়জনকে যার যার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। বোনের বাসায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর আমি প্রথমে আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানিকনগরের একটা জায়গায় দেখা করি। আমরা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। কীভাবে এক দফার (সরকার পতনের) ঘোষণায় যাওয়া যায়, সে বিষয়েও সেদিন আমরা চিন্তা করি।’

সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচির আওতায় গণসংগীত, পথনাটক, দেয়াললিখন, স্মৃতিচারণা ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয় রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১৬টি জেলা ও মহানগরে। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কিছু জায়গায় শিক্ষক ও আইনজীবীরা অংশ নেন। তবে কোথাও কোথাও কর্মসূচিতে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অনেক জায়গায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়।

প্রতিবাদ, বিক্ষোভ

সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উদ্যোগে পৃথক সমাবেশ-মানববন্ধন ও মিছিল করা হয়। পাশাপাশি সেদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা।

‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের কঠোর দমনপ্রক্রিয়া ও গুলিতে ছাত্র-জনতা হত্যা’র প্রতিবাদে ১ আগস্ট বেলা ১১টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদের সামনে সমাবেশের কর্মসূচি ছিল শিল্পী ও কলাকুশলীদের। ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে তাঁরা প্রথমে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ–সংলগ্ন ইন্দিরা রোডের প্রান্তে সমবেত হন। সেদিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিল্পীরা ব্যানার-পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

পরে শিল্পীরা ইন্দিরা রোড দিয়ে শোভাযাত্রা করে ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের কাছে সমবেত হন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা সেখানে সড়কের পাশে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ছাত্র-জনতার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, যে বর্বর পন্থায় শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দমন করা হচ্ছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে ঘটতে পারে না।

দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পীদের সমাবেশ থেকে সেদিন শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বিচার, গণগ্রেপ্তার, মামলা ও হয়রানি বন্ধের দাবি করা হয়। সমাবেশ থেকে আরও জানানো হয়, শিল্পীরা তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

সেদিন বিকেলে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ের সামনে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’–এর ব্যানারে মানববন্ধন করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। মানববন্ধনে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, গুলি করে শিশুসহ নির্বিচার মানুষ হত্যার তদন্ত জাতিসংঘের অধীনে করতে হবে।

সেই মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল (এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা) বলেন, হত্যার বিচার করতে হবে। হুকুমদাতাদেরও বিচার করতে হবে।

কূটনীতিকদের ‘ব্রিফ’

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে ১ আগস্ট বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেদিন বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করা হয়। সেই ব্রিফিংয়ে বিদেশি কূটনীতিকেরা সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ