‘মাঠের বাইরে হারানোর চেষ্টা চলছে বার্সেলোনাকে’—‘প্রতারণার’ অভিযোগের জবাবে লাপোর্তা
Published: 2nd, April 2025 GMT
দানি ওলমো ও পাউ ভিক্তরকে নিবন্ধন করাতে প্রতারণা করেছে বার্সেলোনা—এমন অভিযোগ করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। আজ এক বিবৃতিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষ বলেছে এই দুই খেলোয়াড়কে নিবন্ধন করতে যে আর্থিক সক্ষমতা দরকার ছিল, বার্সেলোনার সেটি কখনোই ছিল না। এ বিষয়ে স্পেনের স্পোর্টস কাউন্সিল (সিএসডি) সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছুদিন আগেই এমন অভিযোগ করল লা লিগা। তবে বার্সা দাবি করেছে তাদের মাঠের বাইরে হারানোর চেষ্টা চলছে।
গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনা জানায় ন্যু ক্যাম্পে নতুন করে বানানো ভিআইপি বক্স বিক্রি করে পাওয়া অর্থ দিয়েই ওলমো ও ভিক্তরকে নিবন্ধন করানোর আর্থিক শর্ত পূরণ করেছে তারা। তখন জানা গিয়েছিল ১০ কোটি ইউরোতে বক্সগুলো বিক্রি করে খেলোয়াড় কেনার নতুন লাইসেন্স পেয়েছে।
এখন লা লিগা বলছে বার্সা অজ্ঞাত এক নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছিল ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্লাবের আর্থিক হিসাব রাখার। সেই প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ব্যবহার করেই সে সময় ওলমো ও ভিক্তরকে নিবন্ধন করায় বার্সা।
দানি ওলমোকে নিবন্ধন করাতে গিয়েই ঝামেলায় জড়িয়েছে বার্সেলোনা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।
নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।