ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর বেদেপল্লিতে এক যুবককে পিটিয়ে ও পেটে রড ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। যুবককে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর শ্বশুর আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম তালাব হোসেন (৩২)। তিনি একই এলাকার মৃত আয়ুব আলীর ছেলে। আহত হয়েছেন তাঁর শ্বশুর ছবেদ আলী। এ ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে রুবেল হোসেন নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বেদেপল্লির কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, তালাব হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশী রুবেল হোসেনের বিরোধ চলছিল। তালাব এলাকায় থাকতেন না, কাজের প্রয়োজনে বাইরে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে তালাবের বাবা আয়ুব আলী অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর তালাব বাড়িতে আসেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর আবার চলে যাওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে তালাব হোসেন একই মহল্লায় তাঁর শ্বশুর ছবেদ আলীর বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে রুবেল সেখানে গিয়ে জখম করেন। জামাতাকে বাঁচাতে গিয়ে শ্বশুর আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তালাবকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ছবেদ আলী ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত তালাবের স্ত্রী জানেদা বেগম বলেন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে কখনো সাপ, আবার কখনো বানর খেলা দেখিয়ে তাঁদের সংসার চলত। স্বামীর আয় দিয়ে তিন মেয়ে আর তাঁর মুখের খাবার জুটত। এখন তাদের কী হবে?

লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ