ঝিনাইদহে বাবার মৃত্যুর খবরে বাড়িতে এসেছিলেন ছেলে, রাতে পেটে রড ঢুকিয়ে হত্যা
Published: 3rd, April 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর বেদেপল্লিতে এক যুবককে পিটিয়ে ও পেটে রড ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। যুবককে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর শ্বশুর আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম তালাব হোসেন (৩২)। তিনি একই এলাকার মৃত আয়ুব আলীর ছেলে। আহত হয়েছেন তাঁর শ্বশুর ছবেদ আলী। এ ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে রুবেল হোসেন নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বেদেপল্লির কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, তালাব হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশী রুবেল হোসেনের বিরোধ চলছিল। তালাব এলাকায় থাকতেন না, কাজের প্রয়োজনে বাইরে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে তালাবের বাবা আয়ুব আলী অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর তালাব বাড়িতে আসেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর আবার চলে যাওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে তালাব হোসেন একই মহল্লায় তাঁর শ্বশুর ছবেদ আলীর বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে রুবেল সেখানে গিয়ে জখম করেন। জামাতাকে বাঁচাতে গিয়ে শ্বশুর আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তালাবকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ছবেদ আলী ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত তালাবের স্ত্রী জানেদা বেগম বলেন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে কখনো সাপ, আবার কখনো বানর খেলা দেখিয়ে তাঁদের সংসার চলত। স্বামীর আয় দিয়ে তিন মেয়ে আর তাঁর মুখের খাবার জুটত। এখন তাদের কী হবে?
লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।