গাজায় শরণার্থীশিবির, জাতিসংঘের মেডিকেলে রাতভর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭৭
Published: 3rd, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আরও অন্তত ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকাল থেকে রাতভর হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে গাজার মেডিকেল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গতকাল দিবাগত রাতে গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘের ইউএনআরডব্লিউএ মেডিকেল স্থাপনাতেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। সেখানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার সূত্র জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী খান ইউনিসের কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অস্থায়ী শিবিরে রাতভর হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২৪ ব্যক্তি নিহত হন।
ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান গাজার নগরের সুজাইয়া এলাকাতেও বোমাবর্ষণ করেছে। এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার ও নৃশংস হামলায় কমপক্ষে ৫০ হাজার ৪২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৩৮ জন।
গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত কয়েকজনের জানাজা আদায় করা হচ্ছে। ২ এপ্রিল, উত্তর গাজা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫