Samakal:
2025-11-03@06:18:54 GMT

ঈদ ছুটিতে ভূতের দেখা

Published: 5th, April 2025 GMT

ঈদ ছুটিতে ভূতের দেখা

ঈদের ছুটিতে তূর্যর খুব ইচ্ছে ছিলো দাদাবাড়ি যাবে। কিন্তু মামুন ভাইয়া ভয় দেখালো।
‘গ্রামে কিন্তু বটগাছের ভূতের সামনে পড়তে পারিস!’
‘বটগাছের ভূত?’
মামুন ভাইয়া গম্ভীর মুখে বললো, ‘‘হুম! আমাদের গ্রামে এক পুরোনো বটগাছ আছে। সেখানে এক ভূত থাকে, নাম ‘বটুভূত’! সে নাকি রাতে একা একা ঘোরাফেরা করা ছোটদের ধরে নিয়ে যায়!’’
তূর্যর তো ভয়েই গা ছমছম করতে লাগলো। এমন জানলে সে এবার গ্রামেই আসতো না। কিন্তু মা বললেন, ‘আহা, এসব বাজে কথা! গ্রামে তো এলি, এখন নিজেই দেখে নে ভূত-টুত কিছু নেই।’
অবশেষে গ্রামে এক সন্ধ্যায় দাদাভাইয়ের সাথে উঠানে বসলো সে। তখনই হঠাৎ দূর থেকে একটা চাপা হাসির শব্দ এলো। দাদা ফিসফিস করে বলেন, ‘বুঝলি তূর্য, ওটা বটুভূতের হাসি!’
তূর্য সঙ্গে সঙ্গে দাদাভাইয়ের কোলে লাফিয়ে পড়লো। দাদাভাই হাসতে হাসতে বলেন, ‘আসলে জানিস, ওটা শিয়ালের ডাক!’
তূর্য একটু লজ্জা পেলো। ভেতরে ভেতরে স্বস্তিও লাগলো। তবু ভয়টা পুরোপুরি গেলো না।
রাতে ঘুমানোর সময় জানালার পাশ দিয়ে কিসের যেন ছায়া নড়লো! তূর্য আঁতকে উঠে চিৎকার করতে যাবে, এমন সময় মামুন ভাইয়া হাসতে হাসতে ঢুকলেন ঘরে। মাথায় একটা সাদা চাদর!
–‘ভাইয়া, তুমি?’
–‘হাহা! ভূতের ভয় পেয়েছিস?’
তূর্য এবার হাসতে শুরু করলো। মামুন ভাইয়াকে তাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ পেছন থেকে আসলেই একটা গম্ভীর গলা শোনা গেলো–
 ‘কে আমার নাম নিল?’
এবার সত্যি সত্যিই সবাই দৌড় দিল!
এই ঘটনার পর তূর্য আর ভূতের ভয় পায় না, কিন্তু মামুন ভাইয়ার ভয় এখনও কাটেনি। কারণ সেই রাতে আসলেই কি কেউ ডাক দিয়েছিল? n  

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলের সড়কে ঝরল ২ প্রাণ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরের দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা আন্ডারপাস এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আকুয়া এলাকার কাছিম উদ্দিনের ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সাহেব আলী (৪৫) এবং একই উপজেলার ভোক্তা এলাকার নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে যাত্রী আব্দুল আলীম (৬০)।

আরো পড়ুন:

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, তরুণের মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক নিহত

পুলিশ জানায়, ঢাকাগামী সার্ভিস লেনে একটি ট্রাক সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই যাত্রী আলীম মারা যান। গুরুতর আহত চালক সাহেব আলীমকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, “নিহতদের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ