সুনামগঞ্জে বিএনপির ১৬টি কমিটি বাতিলের দাবি
Published: 5th, April 2025 GMT
সুনামগঞ্জে বিএনপির ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি উঠেছে। ‘বিএনপির ত্যাগী নির্যাতিত তৃণমূল নেতৃবৃন্দ’–এর ব্যানারে আজ শনিবার দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বোকা বানিয়ে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে গত বছরের ৪ নভেম্বর ৩২ সদস্যের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে এই কমিটি বাতিল ও পুনর্গঠনের দাবি ওঠে। এরপর সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গৌছ সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দেন এবং সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের নিয়ে শাখা কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন। কিন্তু এটি হয়নি। কমিটিগুলো হয়েছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলার ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১ জন আহ্বায়ক, ৪ জন করে যুগ্ম আহ্বায়কসহ প্রতিটি কমিটিতে ২১ জন সদস্য আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসব কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সদর উপজেলা কমিটি গঠনে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। সুনামগঞ্জ পৌর কমিটির ২১ সদস্যের ৬ জনই জেলা বিএনপির সদস্য। তাঁদের মধ্যে ১১ জন একই এলাকার বাসিন্দা। কেউ কেউ বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দলে বিভক্তি আছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ শেখ হাসিনামুক্ত হলেও সুনামগঞ্জ বিএনপির সিন্ডিকেটমুক্ত হয়নি। এতে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম খালিদ, সাবেক নেতা আবদুল গফফার, আবদুল করিম, আবদুল মজিদ, মইনুল হক, নজরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স স ন মগঞ জ আবদ ল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়োগবিধির প্রজ্ঞাপন : প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতিতে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা, ২০২৫–এ পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সংশোধন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা ও বয়সসীমায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শক্রমে এই সংশোধনী জারি করা হয়েছে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর)।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে হবে। পদোন্নতির জন্য প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৪ ঘণ্টা আগেসরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক—উভয় পদেই প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া তফসিল–২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয় পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনকুয়েতে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বেতন ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা০২ নভেম্বর ২০২৫নতুন বিধিমালার মাধ্যমে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংশোধিত বিধিমালার ফলে শিক্ষক নিয়োগের মান আরও উন্নত হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা আনতে চায়।