সুনামগঞ্জে বিএনপির ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি উঠেছে। ‘বিএনপির ত্যাগী নির্যাতিত তৃণমূল নেতৃবৃন্দ’–এর ব্যানারে আজ শনিবার দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বোকা বানিয়ে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে গত বছরের ৪ নভেম্বর ৩২ সদস্যের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে এই কমিটি বাতিল ও পুনর্গঠনের দাবি ওঠে। এরপর সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গৌছ সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দেন এবং সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের নিয়ে শাখা কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন। কিন্তু এটি হয়নি। কমিটিগুলো হয়েছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলার ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১ জন আহ্বায়ক, ৪ জন করে যুগ্ম আহ্বায়কসহ প্রতিটি কমিটিতে ২১ জন সদস্য আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এসব কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সদর উপজেলা কমিটি গঠনে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। সুনামগঞ্জ পৌর কমিটির ২১ সদস্যের ৬ জনই জেলা বিএনপির সদস্য। তাঁদের মধ্যে ১১ জন একই এলাকার বাসিন্দা। কেউ কেউ বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দলে বিভক্তি আছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ শেখ হাসিনামুক্ত হলেও সুনামগঞ্জ বিএনপির সিন্ডিকেটমুক্ত হয়নি। এতে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম খালিদ, সাবেক নেতা আবদুল গফফার, আবদুল করিম, আবদুল মজিদ, মইনুল হক, নজরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো.

আবদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপিতে অনেক ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা আছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনায় কমিটিগুলো হয়েছে ২১ সদস্যের। এ কারণে অনেক ত্যাগী নেতা কমিটিতে আসতে পারেননি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে নিশ্চয়ই তাঁরা মূল্যায়িত হবেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স স ন মগঞ জ আবদ ল সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ