থাই ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে গতকালের চেয়ে আজ আরও ভালো করেছেন সামিউল ইসলাম। গতকাল ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জপদক জেতেন বাংলাদেশের এই সাঁতারু। আজ ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে জিতেছেন রুপা।

৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে রুপা জিততে সামিউল সময় নিয়েছেন ২৭.১৭ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার–সেরা টাইমিং। এর আগে ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সামিউলের টাইমিং ছিল ২৭.

২০ সেকেন্ড। থাই ওপেনের এই ইভেন্টে ২৬.৫৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জেতেন থাইল্যান্ডের সাঁতারু তোনাম। আর ব্রোঞ্জ জেতা তুর্কমিনিস্তানের গুরবানের টাইমিং ছিল ২৭.২০ সেকেন্ড।

এর আগে গতকাল ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ জিততেও ক্যারিয়ার–সেরা টাইমিং করেছেন সামিউল। তাঁর সময় লেগেছে ৫৮.৯০ সেকেন্ড। এত দিন তাঁর সেরা টাইমিং ছিল ৫৮.৯৫ সেকেন্ড। ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সোনা জেতা থাই সাঁতারুর টাইমিং ছিল ৫৬.৯৩ আর রুপা জেতা হংকংয়ের সাঁতারুর টাইমিং ৫৭.৮৪।

বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশনের বৃত্তি নিয়ে থাইল্যান্ডে আছেন সামিউল। সেখানে মূলত উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। থাই ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের পর এ মাসেই মালয়েশিয়ান ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন বাংলাদেশের তরুণ সাঁতারু।

মালয়েশিয়ায় সামিউলের লক্ষ্য সোনা জয়। ২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ান ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, তাজিকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ঘানাসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ থেকে সাঁতারুরা অংশ নেবেন।

গত বছর মালয়েশিয়ায় হওয়া এ প্রতিযোগিতায় রুপা জিতেছিলেন সামিউল। এবার আরও বড় লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে থাইল্যান্ড থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাইমিংয়ে কিছুটা উন্নতি করতে পেরে ভালো লাগছে। আসলে থাই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আমি আলাদাভাবে কোনো প্রস্তুতি নিইনি। আমার লক্ষ্য মালয়েশিয়ায় সোনা জেতা। বলতে পারেন, সেই টুর্নামেন্টের আগে এটা একটা প্রস্তুতি। তবে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেই ভালো লাগছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নশ প ন স ম উল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ