নীলফামারী ইপিজেডে সনিক কারখানায় বিস্ফোরণ, দুই শ্রমিক দগ্ধ
Published: 6th, April 2025 GMT
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সনিক কারখানার ডায়াস্টিক মেশিনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- সৈয়দপুর উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের রমজান আলী (৩০) ও জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের চেংমাড়ি পাড়া এলাকার খায়রুল ইসলাম (৩২)। তাদের প্রথমে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, রাতে কারখানা চলমান অবস্থায় হঠাৎ ডায়াস্টিক মেশিনে বিস্ফোরণ হয়। এসময় শ্রমিকদের মধ্যে ছুটাছুটি শুরু হয়। পরে সেখান থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, ইপিজেডের সনিক কাখানা থেকে দগ্ধ অবস্থা দুজনকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের মধ্যে হায়দার একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ায় কমছে পুরুষ, আকারে ছোট হচ্ছে সামরিক বাহিনী
বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এর ওপর আবার দেশটির সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার উপযুক্ত বয়সী পুরুষের সংখ্যা দ্রুত কমছে। এর জেরে গত ছয় বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর আকার ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে বাহিনীতে সেনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার।
আজ রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীতে পুরুষের সংখ্যা কমায় কর্মকর্তা পর্যায়ের সদস্যে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এমনটি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কোনো অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর আকার কমতে শুরু করে চলতি শতাব্দীর শুরু থেকে। তখন বাহিনীতে ৬ লাখ ৯০ হাজার সদস্য ছিলেন। ২০১০-এর দশকের শেষের দিকে এই কমার গতি বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, তখন সামরিক বাহিনীতে প্রায় ৫ লাখ ৬৩ হাজার সক্রিয় সেনা ও কর্মকর্তা ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে হয়। দেশটির সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশটিতে ২০ বছর বয়সী পুরুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমেছে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে এই বয়সে বেশির ভাগ পুরুষ সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। তাঁদের ১৮ মাস সামরিক বাহিনীতে থাকতে হয়।
১৯৫৩ সালে যখন কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হয়েছিল, ওই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সক্ষম ব্যক্তিকে ৩৬ মাস পর্যন্ত সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে হতো। দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে, সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। তাই সেনাসদস্যদের বাহিনীতে থাকার মেয়াদ কমানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক রয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ১২ লাখ সক্রিয় সেনাসদস্য রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় তাদের ৫০ হাজার সেনাসদস্য কম রয়েছে। আর নন-কমিশন্ড অফিসার পদে ঘাটতি রয়েছে ২১ হাজার জনের।