রাজশাহীর পবায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে দুটি বাসের ৩ জন নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে উপজেলার খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তিনজন হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোড়া পাখিয়া গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে জুয়েল আহমেদ (৪০), বেলায়েত হোসেনের ছেলে নাসিম উদ্দিন (৪৫) ও জোবদুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান। তাঁরা রানীহাটি ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী ছিলেন। আহত ৪০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হাসপাতালের ৫, ৮ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ট্রাকের চালকও রয়েছেন। রাজশাহী নগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানীহাটি ইউনিয়ন জামায়াতের ইসলামীর নেতা–কর্মীরা দুটি বাসে করে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী, আলী আহসান মুহাম্মদ মোজাহিদ ও কাদের মোল্লার কবর জিয়ারত এবং পদ্মা সেতু ও বাঘেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। গতকাল রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাস দুটি রওনা হয়। দুই বাসে ৯৫ জন যাত্রী ছিলেন। রাত ১২টার দিকে পবার খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে বাস দুটির সংঘর্ষ হয়। একটি বাস রাস্তা থেকে ছিটকে রাস্তার নিচে খাদে পড়ে যায়। আরেকটি বাস রাস্তার অন্য পাশে একটি দোকানে ঢুকে যায়। এই বাসের একটি অংশে আগুন ধরে যায়। পরে শুরুতে স্থানীয় লোকজন এসে বাসের যাত্রীদের উদ্ধার করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল আলীম আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতা–কর্মীরা শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলেন। রাজশাহীতে তাঁরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তাঁদের তিন কর্মী মারা গেছেন। ৪০ জনের বেশি আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুর্ঘটনার খবর শুনে তাঁরা রাতেই রাজশাহীতে এসেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চর-আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা এলাকায় মারধরে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম জাহাঙ্গীর আলম (৫২)। আড়াই মাস ধরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় একটি মসজিদের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। গত ৭ এপ্রিল তাঁর ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা এবং তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মসজিদের পাশে জুয়ার আসর বসানো ও মাদক সেবনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন সাব্বির হোসেন (২১) ও রহিম উদ্দিন (৩০)। তাঁরা দুজনই উদমারা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের দুজনকে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলার ঘটনায় ৭ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলার আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী রাজিয়া বেগম। আদালত রায়পুর থানাকে মামলাটি গ্রহণের আদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মসজিদের আশপাশে জুয়ার আসর ও মাদক সেবন করতেন কিশোর গ্যাংয়ের কিছু সদস্য। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে প্রতিবাদ করেন জাহাঙ্গীর আলম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা চালানো হয়।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আড়াই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ