লা লিগার ম্যাচে ইংরেজিতে নিজের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন জুড বেলিংহাম। কিন্তু স্প্যানিশ কোচ ভুল বুঝেছিলেন। তাকেই গালি দেওয়া হয়েছে ধরে নিয়ে রিপোর্ট করেন তিনি। ফলশ্রুতিতে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ মিডফিল্ডারকে।
আবার নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় পড়েছেন রিয়ালের মাঝমাঠের মাঝমাঠের প্রাণভ্রমরা। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে লিগে ২-১ গোলে হারের ম্যাচে আচরণবিধি ভেঙেছেন তিনি। নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে ভিএআর মনিটরে লাথি মারেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে একশ’ মিলিয়নে লস ব্লাঙ্কোস শিবিরে যোগ দেওয়া এই তারকা।
লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোন খেলোয়াড় মাঠে কোন উপকরণ ইচ্ছাকৃত নষ্ট করেন সেক্ষেত্রে তাকে সাজার আওতায় আসতে হবে। তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট হওয়া সাপেক্ষে এক থেকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে তাকে। এছাড়া জরিমানা ও তিরস্কারের বিধানও রয়েছে।
ভিএআর মনিটরে আঘাত করায় লা লিগা ম্যাচে তাই নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেছেন বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদের সামনে লিগে আট ম্যাচ বাকি আছে। বার্সার থেকে সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকায় এই ৮ ম্যাচই রিয়ালের জন্য ফাইনাল। এর মধ্যে বার্সার মাঠে এল ক্লাসিকোও আছে। এমন সময় বেলিংহাম নিষেধাজ্ঞায় পড়লে বড় ধাক্কা খাবে কার্লো আনচেলত্তির দল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫