লা লিগার ম্যাচে ইংরেজিতে নিজের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন জুড বেলিংহাম। কিন্তু স্প্যানিশ কোচ ভুল বুঝেছিলেন। তাকেই গালি দেওয়া হয়েছে ধরে নিয়ে রিপোর্ট করেন তিনি। ফলশ্রুতিতে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ মিডফিল্ডারকে।
আবার নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় পড়েছেন রিয়ালের মাঝমাঠের মাঝমাঠের প্রাণভ্রমরা। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে লিগে ২-১ গোলে হারের ম্যাচে আচরণবিধি ভেঙেছেন তিনি। নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে ভিএআর মনিটরে লাথি মারেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে একশ’ মিলিয়নে লস ব্লাঙ্কোস শিবিরে যোগ দেওয়া এই তারকা।
লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোন খেলোয়াড় মাঠে কোন উপকরণ ইচ্ছাকৃত নষ্ট করেন সেক্ষেত্রে তাকে সাজার আওতায় আসতে হবে। তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট হওয়া সাপেক্ষে এক থেকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে তাকে। এছাড়া জরিমানা ও তিরস্কারের বিধানও রয়েছে।
ভিএআর মনিটরে আঘাত করায় লা লিগা ম্যাচে তাই নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেছেন বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদের সামনে লিগে আট ম্যাচ বাকি আছে। বার্সার থেকে সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকায় এই ৮ ম্যাচই রিয়ালের জন্য ফাইনাল। এর মধ্যে বার্সার মাঠে এল ক্লাসিকোও আছে। এমন সময় বেলিংহাম নিষেধাজ্ঞায় পড়লে বড় ধাক্কা খাবে কার্লো আনচেলত্তির দল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।