মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ইউপি সদস্য বোরহান মোল্লা মারা গেছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। 

নিহত বোরহান মোল্লা মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার চরব্রাহ্মনদী এলাকার মান্নান মোল্লার ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরব্রাহ্মনদী এলাকার শিমুল সরদারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল ঝাউদি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বোরহান মোল্লার। ব্যক্তিগত কাজ শেষে গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ইজিবাইকে করে শহরের পুরানবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বোরহান মোল্লা। শহরের চৌরাস্তা এলাকায় আসলে তার ওপর হামলা চালায় শিমুল সরদার ও তার লোকজন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বোরহান মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা বোরহান মোল্লাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। 

আরো পড়ুন:

ছাত্র আন্দোলনে চোখ হারানো কিশোরকে কুপিয়ে জখম

কক্সবাজারে কেএফসি ও পিৎজা হাটসহ ৫ রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর

অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসক। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় মারা যায় বোরহান মোল্লা।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো.

মোকছেদুর রহমান বলেন, “ইউপি সদস্য বোরহান মোল্লা নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ