মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু
Published: 7th, April 2025 GMT
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ইউপি সদস্য বোরহান মোল্লা মারা গেছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহত বোরহান মোল্লা মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার চরব্রাহ্মনদী এলাকার মান্নান মোল্লার ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরব্রাহ্মনদী এলাকার শিমুল সরদারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল ঝাউদি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বোরহান মোল্লার। ব্যক্তিগত কাজ শেষে গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ইজিবাইকে করে শহরের পুরানবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বোরহান মোল্লা। শহরের চৌরাস্তা এলাকায় আসলে তার ওপর হামলা চালায় শিমুল সরদার ও তার লোকজন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বোরহান মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা বোরহান মোল্লাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরো পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে চোখ হারানো কিশোরকে কুপিয়ে জখম
কক্সবাজারে কেএফসি ও পিৎজা হাটসহ ৫ রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর
অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসক। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় মারা যায় বোরহান মোল্লা।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো.
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।