“কন্ঠে এবার লাগাও জোর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর; আল-আকসা আল-আকসা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ; নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; ট্রাম্পের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; দুনিয়ার মুসলিম, এক হও লড়াই করো; বিশ্ববাসী অস্ত্র ধরো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো; ইসরাইলি পণ্য, বয়কট বয়কট; বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো; আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ; দিয়েছিতো রক্ত, আরো দেবো রক্ত; রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়; ফিলিস্তিনের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; ফিলিস্তিনে হামলা কেন?

জবাব চাই জবাব চাই; একটা একটা ইহুদি ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর; মুসলমানের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; গাজাবাসীর রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী; ইহুদীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; অ্যাকশান অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন” স্লোগানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উত্তাল হয়ে উঠেছে নানা শ্রেণী-পেশার বয়সের মানুষের বিক্ষুব্ধ কন্ঠে।

গাজায় নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের উপর ইজরায়েলি সৈন্যের নির্মম, নিষ্ঠুর, বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিলে নামে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। এসময় সড়কে চলাচলকারী পথচারীরাও মিছিলে অংশ নিয়ে বিক্ষুব্ধ কন্ঠে স্লোগান তোলে।

বিক্ষোভ মিছিলটি সকাল দশটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাংরোডস্থ শিমরাইল মোড় থেকে শুরু হয়ে মৌচাক ইউটার্ন প্রদক্ষীণ করে পুনরায় শিমরাইল মোড় বাসস্ট্যান্ডে এসে দুপুরে সামাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্য হয়ে গাজাবাসীর পক্ষে দাঁড়িয়ে ইসরায়েল-আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। প্রয়োজনে ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অনুরোধ জানান বিক্ষোভকারীরা।

পাশাপাশী বিশ্বাবাসীকে ইসায়েলি সকল পণ্য বয়কট করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাকযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ