টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে আখি সরকার নামে একজন গৃহবধূ একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব করেছেন। 

মা আখি সরকার বাসাইল উপজেলার জতুকী গ্রামের প্রবাসী রতি সরকারের স্ত্রী। 

রবিবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হাসপাতালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে তিনি এই ৪ সন্তানের জন্ম দেন। তবে, একটি সন্তান মায়ের গর্ভে থাকাকালীনই মারা গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। জীবিত ৩ জনকেই কুমুদিনী হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রেখে সার্বিক চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

ওই গৃহবধূর ভাবি শিল্পী রানী সরকার বলেন, “১৫ বছর পর আমাদের ঘর আলোকিত করে ৩ সন্তান পৃথিবীতে এসেছে। আমরা খুবই খুশি।” 

তাদের ৩ জনের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রত্যাশা করেন তিনি।

গৃহবধূর পরিবার জানায়, ১৫ বছর আগে রতি-আখি দম্পতির বিয়ে হয়। বিয়ের ১ বছর পর ছেলে সন্তান হলেও জন্মের ৪দিন পর তার মৃত্যু হয়। তারও এক বছর পর তাদের ঘরে এক মেয়ে সন্তান হয়। অপরদিকে বিয়ের ১৫ বছর পর একসাথে ৪ সন্তান প্রসব করায় তাদের পরিবারে খুশির বন্যা বইছে। যদিও ৪ জনের মধ্য থেকে ১ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত ৩ জনের মধ্যে ১ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তান বলে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে কুমুদিনী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (এনআইসিইউ) কর্তব্যরত নার্স বন্যা চক্রবর্তী বলেন, “স্বাভাবিক আড়াই কেজির তুলনায় ৩ বাচ্চার ওজনই প্রায় দেড় কেজি করে। এটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। তারপরও তাদের খুব যত্ম সহকারে চিকিৎসা চলছে।”

কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের (ইন্টার্ন) এনআইসিইউ'র দায়িত্বে থাকা ডাক্তার নাজিয়া বলেন, “বাচ্চা ৩ বাচ্চারই ওজন কম আছে। তাদের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে। এছাড়া তাদের ব্লাড সুগারও কম রয়েছে। ব্লাড সুগার ঠিক হলেই বাচ্চাগুলো পরিপূর্ণ সুস্থ হবে বলে আশা করছি। বাচ্চার মা-ও ভালো আছেন।”

ঢাকা/কাওছার/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বছর পর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল