গাজীপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় আটক ৪
Published: 8th, April 2025 GMT
গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ও লুটপাটের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার রাতে গাছা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সহকারী উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— নোয়াখালী জেলার সবুজের ছেলে সিয়াম খান অনিক (১৮), ময়মনসিংহ জেলার নতুন বাজার বালিপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিমুল আহামেদ শাওন (২০), শরিয়তপুরের নাজিমুদ্দিন মোল্লারকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহীন (১৯) ও গাছা থানার পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, সোমবার বোর্ডবাজার এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী মিছিল বের হয়। ওই মিছিলের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা পূর্ব পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে তৃপ্তি হোটেল, রাঁধুনি হোটেল ও বাটা কোম্পানির ডিলারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাশকতা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ক্ষতিসাধন করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরবর্তীতে এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুষ্কৃতিকারী শনাক্ত করে গাছা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওই ঘটনায় জড়িত সিয়াম, শিমুল আহমেদ, শাহীন ও জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে গাছা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল