লাল গ্রহ মঙ্গল নিয়ে আমাদের জানার অনেক আগ্রহ। ইলন মাস্কের মতো অনেক প্রযুক্তিবিদ ২০৩০ সালে মঙ্গলের বুকে মানুষের পদচিহ্ন আঁকার চেষ্টা করছেন। দূর থেকে মঙ্গল গ্রহের উপরিভাগকে একটি খালি লাল মরুভূমির মতো দেখায়। একটু ভালোভাবে সেই পৃষ্ঠে তাকালে অদ্ভুত সব কাঠামো দেখা যায়। এসব কাঠামো সেখানকার প্রাচীন কোনো সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করেন দ্য কাইডোনিয়া ইনস্টিটিউট নামে পরিচিত মঙ্গল গ্রহসংক্রান্ত গবেষণা দলের প্রতিষ্ঠাতা জর্জ জে.

হাস।

জর্জ জে. হাস নিজের লেখা নতুন বই ‘দ্য গ্রেট আর্কিটেক্টস অব মার্স’–এ মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠের বিভিন্ন কাঠামোর কয়েক ডজন ছবি বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর ধারণা, মঙ্গল গ্রহে থাকা পিরামিড থেকে শুরু করে তোতাপাখির মতো দেখতে কাঠামোগুলো কোনো এক সময়ের জাঁকজমকপূর্ণ শহরের। তবে লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী রবিন ক্রেমার বলেন, ‘কখনো কখনো আমরা কল্পনায় এমন মুখ দেখি যা আসলে নেই। মুখের মতো নকশা লক্ষ করলে এমনটা মনে হয়। কোনো গাড়ির সামনের দিক বা পোড়া ব্রেডের টোস্টের দিকে তাকালে মানুষের মুখ দেখতে পারেন। একে ফেস প্যারেডোলিয়া বলা হয়। আমাদের মস্তিষ্ক অন্য কোনো কাঠামোকে মানুষের চেহারা বা মুখের মতো মনে করে ভুল করে। মঙ্গলের অনেক কাঠামো দেখে এমন মনে হয়।’

আরও পড়ুনঅন্য সব গ্রহে নতুন বছরের হিসাব কেমন৩১ ডিসেম্বর ২০২৪মঙ্গল গ্রহে চাবির মতো কাঠামো

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ