মুরাদনগরে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে
Published: 9th, April 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার নেতৃত্বে কুমিল্লার মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়বিষয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও তার চাচাতো ভাই ওবায়েদ উল্লাহর সহযোগিতায় মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এসব নেতাকর্মী মুরাদনগরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছেন। আর এসব কর্মকাণ্ডে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার ও বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
মজিবুল হক বলেন, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নির্দেশে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও থানায় নিয়ে নির্যাতন করছে। তারা নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, পুলিশের ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে আমাদের রক্ষা করুন। কুমিল্লার এসপি এবং মুরাদনগর ও বাঙ্গরা থানার ওসির গায়েবি মামলা থেকে মুক্ত হয়ে এলাকায় থাকতে চাই। অন্যথায় মুরাদনগরের জনতা আরেকবার যুদ্ধে নামতে বাধ্য হবে।
মজিবুল হক অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের লোকজন এনসিপিতে যোগ দিয়েছে। আর উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে মিশে পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আগের মতো জুলুম-নির্যাতন শুরু করেছে।
তার দাবি, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের নির্দেশে মুরাদনগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন এনসিপি রূপে আমাদের নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও বিএনপির বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সৌমিতা বেগম নামে এক নারী দাবি করেন, বিএনপি করার কারণে তার ছেলে জুয়েলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এখনও সে কারাগারে আছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র ন ত কর ম র উপদ ষ ট ম র দনগর ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল