পেটের চর্বি কমাতে হলে যা যা করতে হবে
Published: 9th, April 2025 GMT
পেটে চর্বি জমে গেলে আমরা পেটের ব্যায়াম করি। কিন্তু ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র পেটের ব্যায়াম করে চর্বি কমানো সম্ভব নয়। কেন সম্ভব নয়?— চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।
ফিটনেস বিষয়ক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এ এস তাজ একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা অনেকে মনে করি পেটের ব্যায়াম করবো এবং পেটের চর্বি কমে যাবে। শুধুমাত্র পেটের ব্যায়াম করে পেটের চর্বি কমানো সম্ভব না। আমরা যদি আমাদের পুরো শরীরকে একটা সুইমিংপুল হিসেবে ধরি, সুইমিংপুলে যখন আপনি পানি তুলেন তখন গভীর এবং অগভীর সব জায়গা থেকে এক সঙ্গে পানি কমবে। কিন্তু আমরা রেজাল্ট সর্ব প্রথম অগভীর জায়গায় দেখবো। সর্ব প্রথম দেখা যাবে সিঁড়ি থেকে পানি কমে গেছে। আমাদের শরীরটাও একই।’’
এ এস তাজ আরও বলেন, ‘‘মেয়েদের ক্ষেত্রে হিপ থেকে হাঁটু পর্যন্ত ফ্যাট জমে। চর্বির জন্য এটা গভীর জায়গা। আর ছেলেদের নাভি। মেয়েরা যদি অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করে তাহলে তাদের হিপ থেকে নিচের দিকে চর্বি জমতে থাকবে। ছেলেরা যদি অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করে সবার প্রথমে তাদের পেট মোটা হতে শুরু করে। এবং আপনি যদি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন শুরু করে তাহলে সবার প্রথমে পেট এবং হিপ থেকে রেজাল্ট পেতে শুরু করবেন।’’
আরো পড়ুন:
কখন গোসল করা ভালো
দাম্পত্য সম্পর্ক নতুনভাবে রাঙিয়ে নেওয়ার চার উপায়
তাজ জানান, যেকোন ব্যক্তি ডায়েট শুরু করলে সবার প্রথমে তার মুখ শুকিয়ে যায়। হাতের কবজি এবং পায়ের কবজি শুকিয়ে যায়। কারণ এগুলো হচ্ছে অগভীর জায়গা। পেটের চর্বি কমাতে ফুল বডি এক্সারসাইজ করতে হবে। যেন আপনার ব্রেন ফিল করে যে এই ব্যক্তির প্রত্যেকটা মাসল আগের থেকে বেশি কাজ করে। তখন আপনি রেজাল্টটা বেশি পাবেন। মেটাবোলিক রেট ফার্স্ট হবে। ব্লাড হার্ট থেকে হাতের আঙুল পর্যন্ত পৌঁছাবে। পায়ের আঙুল পর্যন্ত পৌঁছাবে এবং ব্রেন পর্যন্ত পৌঁছাবে। সুতরাং ফিটনেস পেতে হতে পুরো বডির এক্সারসাইজ করতে হবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ট র ব য য় ম কর প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল