নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত যুবককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান।

আটক মো.

আহসানুল কবির (৩৭) রংপুর জেলার সদর উপজেলার ঘাঘটপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ও একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চৌমুহনীতে কর্মরত। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত কবির ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। ভুক্তভোগী শিশু তার মা-বাবার সঙ্গে পাশেই ভাড়া বাসায় বসবাস করে। শিশুটির বাবা-মা চাকরি করেন। ঘটনার সময় তার বাবা-মা বাসায় ছিল না। এই সুযোগে কবির তাকে তুলে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসেন। তখন শিশুটিকে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে আটক করে গণপিটুনি দেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বর্তমানে শিশুটি নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। একই হাসপাতালে ভর্তি অভিযুক্ত কবির।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, শিশুটি গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি। তার স্বজনেরা ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, অভিযুক্ত যুবককে স্থানীয়রা আটক করে মারধর করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা মঙ্গলবার আবার শুরু

আগামী মঙ্গলবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা আবার শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে এই আলোচনা শুরু হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবারের আলোচ্যসূচি হিসেবে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো আগের অসমাপ্ত আলোচনা সমাপ্ত করা (সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন ও নারী প্রতিনিধিত্ব), দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ) এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার আলোচনা শেষ হওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথমে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করবেন। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ব্রিফ করবেন। আলোচনা অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন-নিউজ (বিটিভি-নিউজ) সরাসরি সম্প্রচার করবে।

সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০ মার্চ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করে কমিশন। গত ১৯ মে পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, সিপিবি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশনে আলোচনা করেছে কমিশন।

প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলেও মৌলিক সংস্কারের কিছু প্রস্তাব নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। সেসব প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ২ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরের দিন বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তিনটি বিষয়ে (সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন ও নারী প্রতিনিধিত্ব) আলোচনার পর ওই দিন অধিবেশন মুলতবি করা হয়। সেই মুলতবি বৈঠকই মঙ্গলবার আবার শুরু হচ্ছে।

আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবারও আলোচনা হবে বলে আজ রোববার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বুধ ও বৃহস্পতিবারের আলোচ্য সূচি (আলোচনার বিষয়বস্তু) পরে জানাবে কমিশন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ