বাবাকে হারিয়েছেন অনেকে আগেই। জীবনের লম্বা সময়ও মাকে কেটেছ ছাড়া। তাই এখন আরও বেশি করে মায়ের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মা চিত্রা চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে আবেগপ্রবণ অভিনেত্রী। মায়ের  বিশেষ দিনে দু’জনের একসঙ্গে তোলা একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায় মা-মেয়ের সম্পর্ক অনেকটা ‘টম অ্যান্ড জেরি’র মতো।

অভিনেত্রীর কথায়, তাদের সম্পর্ক অনেকটা ‘টম অ্যান্ড জেরি’র মতো। মায়ের জন্মদিনে পেশাগত কাজও রয়েছে বিবৃতির। কিন্তু তার মধ্যেই চলছে উদ্‌যাপন।

‘ভটভটি’ খ্যাত অভিনেত্রী বললেন, ‘রাত্রে কেক কাটায় মায়ের আপত্তি ছিল। তাই আজ সকালে মাসি এবং মেসোমশাইয়ের উপস্থিতিতে আমরা কেক কেটে একসঙ্গে প্রাতরাশ সেরেছি।’

কর্মসূত্রে চিত্রাকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে। কিন্তু রাজস্থানের স্কুলে পড়াকালীন ৫ বছর মায়ের সঙ্গ পেয়েছিলেন বিবৃতি। কারণ, সেই স্কুলেই তখন চাকরি করতেন চিত্রা। অল্প বয়সে মায়ের সান্নিধ্য পাননি বলে মনের মধ্যে কোনও দুঃখ পুষে রাখেননি বিবৃতি। বরং এখন আরও বেশি করে মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে চেষ্টা করেন।

২০১২ সালে বাবাকে হারিয়েছেন বিবৃতি। জীবনের চলার পথে মনোবল থেকে শুরু করে ইচ্ছাশক্তি এবং স্বাধীন জীবনযাপনের আদর্শ তিনি মাকে দেখেই রপ্ত করেছেন বলে জানালেন বিবৃতি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এখনও পর্যন্ত কেরিয়ারে যে ভাবে এগিয়েছি, সেখানে মায়ের নীরব সমর্থন পেয়েছি। মা এবং আমার পরিবার কিন্তু আমাকে প্রত্যেক মুহূর্তে সমর্থন করে।’

কিন্তু প্রেম বা বিয়ে নিয়ে মায়ের পক্ষ কোনও চাপের বিষয়ে বিবৃতি বলেন, ‘মা আমাকে বলেই দিয়েছেন সম্পর্কে না জড়াতে। আর কোনও দিন বিয়ে না করারই পরামর্শ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে কাজে মন দিতে চাই। কোনও রকম সম্পর্কে জড়াতে চাই না।’

বিবৃতি অভিনীত ‘দেবী চৌধুরাণী’ ছবিটি মুক্তি পাবে অগস্ট মাসে। এ ছাড়াও রাজ চক্রবর্তীর হিন্দি ওয়েব সিরিজ় ‘পরিণীতা’তে তাঁকে দেখবেন দর্শক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল