হিলি চেকপোস্ট পরিদর্শন করলেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার
Published: 9th, April 2025 GMT
দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে হিলিতে এসে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এ এস এম আকরাম সম্রাট।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, “ভৌগোলিক কারণে ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে হিলি স্থলবন্দর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিতে যেসব বাঁধা রয়েছে তা অচিরেই সমাধান করা হবে। ভারত অংশে রাস্তা প্রশস্ত ও কাস্টমসের উপ-কমিশনার কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে বানিজ্য আরো সম্প্রসারণ করা হবে।”
আরো পড়ুন:
ছুটি শেষে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
৯ দিনের ছুটি
ভোমরা স্থলবন্দরে ১৪ কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আগে থেকেই ভালো রয়েছে। এই সম্পর্ক আরো ভালো করতে দুই দেশকেই এগিয়ে আসতে হবে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন- হিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান, হিলি আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম, হাকিমপুর থানার ওসি সুজন মিঞা, তদন্ত ওসি এসএম জাহাঙ্গীর আলম, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম রেজা আহমেদ বিপুল, আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক।
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।
এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী