টাঙ্গাইল সদরের মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আনিছুর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী লিলি বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বাড়ির পাশে ‘লিওন বেকারি’ নামে নিজ প্রতিষ্ঠানেই এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই এসএম আনিছুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুইজবাড়ী বাজারের কাছে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান উত্তমের বাড়ির পাশেই নিজেদের ‘লিওন বেকারি’ নামে বিস্কুটের ফ্যাক্টরি রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নামাজ শেষ করে উত্তম ফ্যাক্টরিতে যেতেন। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তমের ফ্যাক্টরিতে যেতে দেরি হওয়ায় তার স্ত্রী লিলি আক্তার সেখানে যান। সেসময় কয়েকজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিলিকে কোপাতে থাকে। সেসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লিলিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রেখেছে পুলিশ।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, “কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানা যায়নি। আমরা এ ঘটনায় শোকাহত। জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ বলেন, “মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়না তদন্ত শেষে দুপুরের মধ্যে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/কাওছার/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ

যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।

এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ