দেশের নাম ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ চায় ইসলামী আন্দোলন
Published: 10th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের বর্তমান নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে নাগরিকতন্ত্র ও জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ চালুর প্রস্তাব করেছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন। তবে নতুন প্রস্তাবনায় ‘পিপল ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ তথা ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নামে প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে দেওয়া দলীয় মতামতে এমন প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত কমিশন কার্যালয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে মতামত তুলে দেন দলটির প্রতিনিধিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুস আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আহমদ আবদুল কাইয়ুম এবং মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে এম শরিয়াতুল্লাহ।
মতামত পেশ শেষে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রের নাম হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে ‘ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’। কারণ, এই নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক হারে চাই। স্থায়ীভাবে স্বৈরাচার প্রতিরোধিতা কার্যকর পদ্ধতি।
এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, স্বাধীনতার পর সবার অংশগ্রহণে রাষ্ট্রসংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, যাতে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব। আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিনই কমিশন একাধিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ জাসদ ও জাকের পার্টির সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এ দেশে উদ্যোক্তাদের ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়: রেনাটা এমডি
দেশের উদ্যোক্তাদের ক্রিমিনাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেটি বাদ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সহসভাপতি ও রেনাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এস কায়সার কবির। তিনি বলেন, ‘দেশের উদ্যোক্তাদের ক্রিমিনাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেটি বাদ দিতে হবে। উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।’
সৈয়দ এস কায়সার কবির আরও বলেন, পণ্য রপ্তানি করে বাড়তি ডলার পেতে হলে ডলারকে বাইরে যেতে দিতে হবে। অর্থাৎ বিদেশে বিনিয়োগ সহজ করতে হবে।
আজ বুধবার প্রথম আলোর আয়োজনে ‘রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সহসভাপতি ও রেনাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এস কায়সার কবির। কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আজ গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনে সহায়তা করেছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
সৈয়দ এস কায়সার কবির বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বিনিয়োগ করবেন না; ওষুধের দাম কমান। ওষুধের দাম কম বললে মন্ত্রণালয় বলে, দাম আরও কমান; আপানারা চুষে খাচ্ছেন। অথচ সময়ের ব্যবধানে ওষুধে নিট মুনাফা ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। দুনিয়ার মধ্যে ওষুধের দাম সবচেয়ে কম বাংলাদেশে। দয়া করে আমাদের রক্তচোষা বলবেন না। উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিন।’
সৈয়দ এস কায়সার কবির আরও বলেন, ‘ওষুধশিল্পের বৈচিত্র্যকরণ করা উচিত। কারণ, ওষুধে মূল্য সংযোজন অনেক বেশি। আমরা যদি ওষুধ রপ্তানির জন্য আমাদের কোম্পানিগুলো মার্কিন বাজারের সব অনুমোদন করে, তাহলে বাংলাদেশের পণ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। তখন পণ্যের মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন করবে না। সে জন্য ওষুধশিল্পের উন্নয়নে জোর দিন।’