কিশোরগঞ্জ-১ (সদর–হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছেন একদল নারী।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকায় মুক্তমঞ্চ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে শতাধিক নারীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো.

মাজহারুল ইসলামকে পরিবর্তনের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

এর আগে, একই দাবিতে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত পাঁচ প্রার্থী যৌথ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের পাশাপাশি মশাল মিছিল কর্মসূচি পালন করেন।

মনোনয়ন বঞ্চিতরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ হিলালী, ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান চুন্নু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফুল ইসলাম।

এই পাঁচজনের বাইরেও মাজহারুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করছেন অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী।

ঢাকা/রুমন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স ব ক স র মন ন

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে মনোনয়ন না পাওয়া ৫ নেতা ও দলীয় প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া পাঁচ নেতা ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন। দুই পক্ষের কর্মসূচির ফলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

আজ সোমবার বেলা একটার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোডে মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে দলের পাঁচ নেতা একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেন। তাঁরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান। অন্যদিকে বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা শহরের রথখলা মাঠ থেকে মাজহারুল ইসলামের পক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও রথখলা মাঠে এসে জড়ো হয়। সেখানে মাজহারুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মাজহারুল ইসলাম ছাড়াও বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ্ রাব্বানী, সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, সাবেক সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ।

মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতাদের মধ্যে ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী ছাড়া বাকি পাঁচজন মাজহারুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। তাঁরা প্রতিবাদ সভা, সংবাদ সম্মেলন, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচির পাশাপাশি মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে আসছেন।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পাঁচ নেতা বলেন, মাজহারুল ইসলাম ১৭ বছর ধরে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি দুর্দিনে কোনো নেতা-কর্মীর খোঁজখবর নেননি। গত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেখানে শত শত মামলা–মোকদ্দমায় জর্জরিত ছিলেন, সে সময়ে মাজহারুল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের দালালি করেছেন। তাঁর মতো অযোগ্য লোককে মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা হতাশ।

বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া পাঁচ নেতার সংবাদ সম্মেলন। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের স্টেশন রোডে বিএনপি নেতা রেজাউল করিমের দলীয় কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এ দেশে উদ্যোক্তাদের ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়: রেনাটা এমডি
  • হাসিখুশি ছেলেটার এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না কেউ
  • কিশোরগঞ্জে মনোনয়ন না পাওয়া ৫ নেতা ও দলীয় প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি