Samakal:
2025-08-01@21:55:38 GMT

ভূমিকম্প সম্পর্কে

Published: 10th, April 2025 GMT

ভূমিকম্প সম্পর্কে

প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভেতর এই একটিমাত্র দুর্যোগ কোনো পূর্বাভাস দিয়ে আসে না। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ এর আসন্নতার লক্ষণ প্রকাশ করে। অতিসম্প্রতি, ২৮ মার্চ, ভয়াবহ ভূমিকম্প প্রত্যক্ষ করেছে পৃথিবীর মানুষ। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, নেমে এসেছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়, এবং উদ্ধারকাজ এখনও চলমান। আমরা বিভিন্ন মানুষের ধারণকৃত ভিডিওচিত্রে দেখেছি, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে বহুতল দালান। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ছে মানুষ। ধুলার মেঘে ঢেকে যাচ্ছে গোটা শহর। উপদ্রুত এলাকা থেকে দ্রুত সরে পড়তে চেষ্টা করছে আক্রান্ত মানুষ। 
বাংলাদেশও কি উচ্চঝুঁকির মধ্যে নেই? এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বলা হচ্ছে, বড় ধরনের ভূমিকম্পের শিকার হতে পারে বাংলাদেশ। তবে নেই প্রস্তুতি। যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিপরীতে বৃহত্তর প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য ঘটনার কারণ, ধরনসহ সম্যক প্রকৃতি জানা জরুরি। একাধিক ভূমিকম্পের আশঙ্কা অনুধাবন করে চলতি বছরে ২৮ জানুয়ারি ভূগোল-বিষয়ক গণমাধ্যম ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি প্রতিবেদন ‘হোয়াট কজেস আর্থকোয়াক’ অথবা ‘কেন ভূমিকম্প হয়’ এই শিরোনামে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করে। লেখাটি সেই নিবন্ধের অনুসরণে লিখিত। 
ভূমিকম্পের কারণ
ভূমিকম্প এতটাই ভয়াবহ ধ্বংসাত্মক হতে পারে যে, বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ছোট ছোট কম্পন হাজার হাজার মানুষ দ্বারা অনুভূত হয়; তা কল্পনা করাও কঠিন। বেশির ভাগই এত ছোট যে মানুষ তা অনুভব করতে পারে না। ছোট ভূমিকম্পও আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে, সবশেষে মেইনের ইয়র্ক হারবারের কাছে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ৩.

৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের ভূমিকম্পের তুলনায় পূর্ব উপকূলে ভূমিকম্প কম ঘটে, তবে বিস্তৃত অঞ্চলে তা অনুভূত হয়। এই বিশেষ ভূমিকম্পটি নিউ ইংল্যান্ডের কিছু অংশ, এমনকি দক্ষিণে বোস্টন ও রোড আইল্যান্ড পর্যন্ত কেঁপে ওঠে সকাল ১০টা ২২ মিনিটের দিকে। ভূমিকম্প সাধারণত কোথায় হয়, ভূমিকম্প কীভাবে পরিমাপ করা হয় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প কী ক্ষতি করতে পারে– সে সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার তা এখানে দেওয়া হলো। 
সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প কোথায় হয়
পৃথিবীর প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিকম্প প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে ঘটে, যাকে “আগুনের বলয়” বলা হয়। কারণ, সেখানে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপও বেশি থাকে। বেশির ভাগ ভূমিকম্প ফল্ট জোনে ঘটে, যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলো পৃথিবীর ওপরের স্তর তৈরি করে, এমন বিশাল শিলা স্ল্যাবগুলো একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এই প্রভাবগুলো সাধারণত ধীরে ধীরে হয় এবং উপরিভাগে অলক্ষিত। তবে প্লেটগুলোর মধ্যে প্রচণ্ড চাপ তৈরি হতে পারে। যখন এই চাপ দ্রুত নির্গত হয়, তখন এটি বিশাল কম্পনের সৃষ্টি করে, যাকে সিসমিক তরঙ্গ বলা হয়। এটি প্রায়ই পাথরের মধ্য দিয়ে শত শত মাইল দূরে এবং পৃষ্ঠে উঠে যায়। প্লেটগুলো প্রসারিত বা চাপা হলে ফল্ট জোন থেকে অনেক দূরে অন্যান্য ভূমিকম্প ঘটতে পারে।
ফল্টের ধরন
ডিপ স্লিপ ফল্ট, রিভার্স ফল্ট, স্ট্রাইক স্লিপ ফল্টসহ বিভিন্ন ধরনের ফল্ট রয়েছে। এখানে তাদের বর্ণনা দেওয়া হলো। 
স্ট্রাইক স্লিপ
যখন পৃথিবীর ভূত্বকের কিছু অংশ পার্শ্ব অভিমুখে সরে যায়, তখন ফলাফল “স্ট্রাইক স্লিপ” ফল্ট বরাবর একটি অনুভূমিক গতি হয়। সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণ হলো ক্যালিফোর্নিয়ার সান আন্দ্রেয়াস ফল্ট, যা দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে সান ফ্রান্সিসকোর উত্তরে প্রায় ৬০০ মাইল (১০০০ কিলোমিটার) বিস্তৃত। ফল্টের শাখাগুলোর পার্শ্ব অভিমুখ গতি উত্তর আমেরিকার মহাদেশীয় ভূত্বকের নিচে উত্তর-পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরের ভূত্বক প্লেটের সরে যাওয়ার কারণে ঘটে। 
ডিপ স্লিপ
ভূমিকম্পে ওপর-নিচে গতি তথাকথিত “ডিপ স্লিপ” ফল্টের ওপর ঘটে, যেখানে ফল্ট জোনের ওপরের ভূমি হয় নেমে যায় (একটি স্বাভাবিক ফল্ট) অথবা ওপরে ঠেলে দেওয়া হয় (একটি বিপরীত ফল্ট)। একটি স্বাভাবিক ফল্ট ঘটে, যেখানে ভূত্বকের গভীর অংশ একটি ওপরের অংশ থেকে সরে যায়। 
একটি সাধারণ ফল্টের উদাহরণ হলো উটাহ ও আইডাহোর অন্তর্নিহিত ২৪০ মাইল দীর্ঘ ওয়াসাচ ফল্ট, যা আবার পশ্চিম-উত্তর আমেরিকার নিচে প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট চলাচলের কারণে ঘটে। সম্ভবত ৫৫০ বছর আগে ফল্ট বরাবর ৭.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প ফল্টের একপাশে তিন ফুট (এক মিটার) মাটি বিদীর্ণ করে ফেলেছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ এই ফল্টটিকে ৭.০ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের ঝুঁকি হিসেবে দেখেছে। 
তির্যক
ভূমিকম্পবিদরা যেসব ফল্টের সাথে পার্শ্ববর্তী অংশে ওপরে-নিচে গতি একত্র হয়, তাকে তির্যক বলে। সান ফ্রান্সিসকোর দক্ষিণে সান্তা ক্লারা ভ্যালিতে তির্যক গতির প্রবণতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৯ সালের এক ভূমিকম্পে দেখা গিয়েছে।
ভূমিকম্পের মাত্রার রেটিং
বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের তীব্রতা এবং সময়কালের ওপর ভিত্তি করে ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারণ করেন। ৩ থেকে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পকে ছোট বা হালকা বলে মনে করা হয়; ৫ থেকে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পকে মাঝারি থেকে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়; ৭ থেকে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পকে বড় এবং ৮ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্পকে বড় বলে মনে করা হয়। ভূমিকম্পের পরে সর্বদা আফটারশক হয়, যা মূল ভূমিকম্পের পরে ছোট ভূমিকম্প এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে বছরের পর বছর পর্যন্ত। ইউএসজিএস অনুসারে, কিছু ভূমিকম্পের পূর্বাভাসও থাকে অথবা ছোট ভূমিকম্প; যা বড় ভূমিকম্পের আগে হয়। সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল ১৯৬০ সালে দক্ষিণ চিলিতে আঘাত হানা ৯.৫ মাত্রার ভূমিকম্প। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরটির নাম অনুসারে ভালদিভিয়া ভূমিকম্পে প্রায় ১ হাজার ৬৫৫ জন নিহত হয়। এ ছাড়া দুই মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সুনামির সৃষ্টি হয় এবং জাপান, হাওয়াই ও নিউজিল্যান্ডের উপকূলরেখা প্লাবিত হয়।
ভূমিকম্পের ক্ষতি বিবেচনায় করণীয়
গড়ে প্রতি বছর কোথাও না কোথাও ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভূমিকম্পে মারা যায়। গত মাসের ভূমিকম্পেই মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বছরজুড়ে পৃথিবীর নানান জায়গায় আরও ভূমিকম্প অনুভূত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নাই। বেশির ভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে ভবন ধসে, তবে ধ্বংস প্রায়ই কাদামাটির ধস, আগুন, বন্যা বা সুনামিতে ঘটে। বড় ভূমিকম্পের পরের দিনগুলোতে সাধারণত ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়, যা উদ্ধার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে এবং আরও মৃত্যু ও ধ্বংসের কারণ হতে পারে। 
বাংলাদেশকে দীর্ঘকাল ধরে চোখ রাঙাচ্ছে ইন্ডিয়ান-বার্মা প্লেট। সম্প্রতি মিয়ানমার-থাইল্যান্ডকে বিপর্যস্ত করে তোলা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল গড়ে ৭.৭। বাংলাদেশসহ আশপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্পের অনুমিত মাত্রা ধরা হয়েছে ৮.২ থেকে ৯। কাঠামোগত কারণে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। সরকারের প্রয়োজন– দ্রুত জরুরি পরিকল্পনা প্রণয়ন। এ পরিকল্পনা নগরায়ণসংক্রান্ত ও ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক নিরসন উদ্ধারকার্যের প্রস্তুতিসংক্রান্ত হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের এ-সংক্রান্ত শিক্ষা ও দীক্ষা দান জরুরি। ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ার পরিবর্তে তরঙ্গঘাত সহ্য করে দুলতে থাকবে এমন নির্মাণশৈলীর (বেস আইসোলেশন) ভবন নির্মাণ উৎসাহিত করা যেতে পারে। v
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প ম ত র র ভ ম কম প ভ ম কম প র প ছ ট ভ ম কম প ভ ম কম প ক প ফল ট ফল ট র ভ ত বক র ওপর সবচ য

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ