ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম
Published: 11th, April 2025 GMT
নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক নারীকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে জাকারিয়া হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার সময় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক জাকারিয়া হোসেন বিয়াঘাট গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। আহত নারী কুমারখালী গ্রামের বাসিন্দা। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার সময় ওই নারী কুমারখালী মাঠের মধ্যে একটি পুকুরে হাঁসের জন্য শামুক কুড়াতে যান। এ সময় তাকে একা পেয়ে জাকারিয়া কুপ্রস্তাব দেয় ওই নারীকে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে জোরপূর্বক জাপটে ধরে ধর্ষণ চেষ্টা করলে মেয়েটি বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকারিয়ার হাতে থাকা কাচি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ওই নারী রক্তাক্ত শরীর নিয়ে মাঠের পাশেই একটি বাড়ির উঠানে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। ওই নারীর গলায়, কানের নিচে, দুই হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাচি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছে বলেও জানায় স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাঝপথে জ্বালানি শেষ স্পিডবোটের, ২৭ যাত্রী নিয়ে ভেসে ছিল আড়াই ঘণ্টা
সন্দ্বীপ চ্যানেলে দুর্ঘটনায় পড়া একটি স্পিডবোট আড়াই ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর কূলে পৌঁছেছে। বোটটিতে ৩ শিশু, ২ নারীসহ মোট ২৭ জন যাত্রী ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বোটটি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা উপকূলে পৌঁছায়। বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিস।
বোটের কয়েকজন যাত্রী প্রথম আলোকে জানান, কুমিরা ঘাটের কাছাকাছি আসতেই বোটটির গতি কমে যায়। এরপর প্রবল ঢেউ ও স্রোতের মুখে বারবার পানিতে আছড়ে পড়তে থাকে। চালক তখন যাত্রীদের জানান, বোটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বোটের সামনের অংশে পানি ঢুকতে দেখা যায়। আতঙ্কিত যাত্রীরা তখন চিৎকার করতে থাকেন। পরে বোটটি ভাসতে ভাসতে কূলে পৌঁছায়।
বোটে থাকা যাত্রী ফুয়াদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোটের তলা ফেটে পানি ঢুকছে আর আমরা এক কিলোমিটার দূরে উত্তাল সাগরে ভাসছি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল বেঁচে ফিরতে পারব না, এমনকি সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার কথাও ভাবছিলাম। কিন্তু ভাগ্য ভালো, শেষ পর্যন্ত কূলে পৌঁছাতে পেরেছি।’
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সবাই নিরাপদে কূলে নামতে সক্ষম হন বলে জানান ফুয়াদ।
বিকেলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির কারণ জানতে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
জানতে চাইলে বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বোটের জ্বালানি শেষ হয়নি। তীব্র স্রোতের কারণে বোটটি কুমিরা ঘাট থেকে উত্তরে সরে গিয়ে তীরের কংক্রিট ব্লকে ধাক্কা খায়। এতে বোটের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু যাত্রীরা সবাই নিরাপদে কূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন।’
বৈরী আবহাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বোট চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস বন্ধ ছিল। তবে বিদেশগামী কয়েকজন যাত্রীর অনুরোধে এই একটি ট্রিপ চালু করতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই সময়ে বোট চলাচলের অনুমতি ছিল না। তিনি বলেন, মাঝ সাগরে জ্বালানি শেষ হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তার দায় চালক ও মালিকের। ইতিমধ্যে স্বত্বাধিকারীদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। চালকের লাইসেন্স স্থগিত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।