নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক নারীকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে জাকারিয়া হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার সময় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক জাকারিয়া হোসেন বিয়াঘাট গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। আহত নারী কুমারখালী গ্রামের বাসিন্দা। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার সময় ওই নারী কুমারখালী মাঠের মধ্যে একটি পুকুরে হাঁসের জন্য শামুক কুড়াতে যান। এ সময় তাকে একা পেয়ে জাকারিয়া কুপ্রস্তাব দেয় ওই নারীকে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে জোরপূর্বক জাপটে ধরে ধর্ষণ চেষ্টা করলে মেয়েটি বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকারিয়ার হাতে থাকা কাচি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ওই নারী রক্তাক্ত শরীর নিয়ে মাঠের পাশেই একটি বাড়ির উঠানে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। ওই নারীর গলায়, কানের নিচে, দুই হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাচি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছে বলেও জানায় স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ এখনও থানায় আসেনি। মৌখিক কিংবা লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক প য় জখম ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ