চিন্ময় দাসের মুক্তিসহ ৮ দাবি বাংলাদেশ সনাতন পার্টির
Published: 11th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তিসহ সনাতনী সম্প্রদায়ের পূর্বঘোষিত ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) কর্মী সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অনিক রায় সনাতনী সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুরঞ্জন ঘোষ বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় একচেটিয়া আওয়ামী লীগকে ভোট দিলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই বেশি লুটপাট ও দখল করছে।
বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই আমরা নির্যাতিত ও নিপীড়িত। কোনও সরকারের আমলেই আমাদের সঠিক অধিকার দেয়া হয়নি। সনাতনীরাই সবসময় বিভিন্ন দলের ভোট ব্যাংক বা বলির পাঁঠা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি) নিবন্ধন পেলে সনাতনীরা আগামী দিনে কারো ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার হবে না এবং সনাতনী সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর নির্যাতন হলেও সব সরকার তা বারবার অস্বীকার করে, যা জাতি হিসেবে আমাদের খুব লজ্জাজনক। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধে দ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) সভাপতি আশিষ কুমার দাশ বলেন, সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর সংগঠিত নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। আগামী দিনে সনাতনী সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের কোনও বিকল্প নেই। তাই বাংলাদেশ সনাতন পার্টিকে (বিএসপি) শক্তিশালী করতে কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই। নির্বাচন কমিশনকে বাংলাদেশ সনাতন পার্টিকে (বিএসপি) নিবন্ধন দিয়ে সনাতনী সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।
সংগঠনটির সভাপতি আশিষ কুমার দাশের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ।
সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অশোক তরু, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলামিষ্ট সুরঞ্জন ঘোষ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, সম্মিলিত সনাতন পরিষদের অ্যাড.
এছাড়াও সম্মেলনে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) দপ্তর সম্পাদক সুজীৎ দাস, জয় চক্রবর্তী, বিকাশ অধিকারী, অমিত মালী, রাহুল, জয়পুর হাটের বন্ধন বাগচী, শায়ান বালা, জন্টু জয়ন্তসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপস থ ত ছ ল ন ব এসপ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।