‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অসুস্থ হওয়া ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে
Published: 12th, April 2025 GMT
ইসরায়েলি বর্বরতায় নজিরবিহীন নিপীড়ন ও ধ্বংস-মৃত্যুর মধ্যে বসবাস করা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ১৪ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহতরা হলেন, মাওলানা মোক্তার হোসেন (৩০), সোলায়মান (২০), আবু সুফিয়ান (১৭), রনি (৩০), মিলন (৩৪), ইয়াসিন (২২), বিপ্লব (৩০), মাসুদ (২২), সজল (২৮), জুয়েল (৩৫), সোহেল (২৩)। বাকি তিনজনের নাম জানা যায়নি। তবে তাদের আনুমানিক বয়স ২২ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর কক্ষে তাদের চিকিৎসা চলছে।
আরো পড়ুন:
চোখের জলে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি কামনায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সমাপ্ত
সোহরাওয়ার্দীতে জনতার মহাসমুদ্রে ‘ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’ ধ্বনি
শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডাকা ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে বিকাল ৪টার দিকে শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
এসময় উপস্থিত জনতা ‘আমিন, আমিন’ ধ্বনি দেন। অশ্রুসজল লাখো মানুষ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসলায়েলি নিপীড়ন বন্ধে আল্লাহর করুণা কমনা করেন।
মোনাজাত শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া শুরু করে মানুষ। সকাল থেকে যেমন উদ্যানমুখী মানুষের স্রোত ছিল, ফেরার সময়ও ঢাকার সব সড়কে জনস্রোত দেখা যায়।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি আয়োজন করে। কর্মসূচি থেকে পদযাত্রা বাদ দেওয়া হলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জমায়েত হয়। ঢাকার সব রাস্তা যেন মিলে যায় উদ্যানে।
এর আগে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সি মানুষ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রিত হয়। পিক-আপ, ট্রাকে মিছিল নিয়ে আসে বহু মানুষ। দলে দলে হেঁটে আসতে দেখা যায় অনেক মানুষকে।
মানুষের স্রোতের মধ্যে পড়ে এবং ভ্যাপসা গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে যাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়ে পড়ে, তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকা/রায়হান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র চ ফর গ জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘পরিবেশবান্ধব বাঁশের আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে’
পরিবেশবান্ধব বাঁশের আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘‘দেশে কাঠের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে। এই চাপ কমাতে আসবাবপত্র তৈরিতে কাঠের বিকল্প হিসেবে বাঁশ ব্যবহারে উদ্যোগী হতে হবে। বাঁশ সহজলভ্য, দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং পরিবেশবান্ধব।’’
রবিবার (১৫ জুন) সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা পরবর্তী ১ম কর্মদিবসে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পরিবেশ রক্ষায় নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্রের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে তিনি বাঁশগবেষণা কেন্দ্রে বাঁশ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিক পণ্য উদ্ভাবনের ওপর জোর দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আধুনিক, টেকসই ও রুচিশীল বাঁশের আসবাবপত্র তৈরি করে অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণ ও আন্তর্জাতিক বাজারেও সম্ভাবনা তৈরি করা সম্ভব।’’
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সমূহের প্রধানগণ, এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিপু