ইসরায়েলি বর্বরতায় নজিরবিহীন নিপীড়ন ও ধ্বংস-মৃত্যুর মধ্যে বসবাস করা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ১৪ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহতরা হলেন, মাওলানা মোক্তার হোসেন (৩০), সোলায়মান (২০), আবু সুফিয়ান (১৭), রনি (৩০), মিলন (৩৪), ইয়াসিন (২২), বিপ্লব (৩০), মাসুদ (২২), সজল (২৮), জুয়েল (৩৫), সোহেল (২৩)। বাকি তিনজনের নাম জানা যায়নি। তবে তাদের আনুমানিক বয়স ২২ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর কক্ষে তাদের চিকিৎসা চলছে।

আরো পড়ুন:

চোখের জলে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি কামনায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সমাপ্ত

সোহরাওয়ার্দীতে জনতার মহাসমুদ্রে ‘ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’ ধ্বনি

শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডাকা ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে বিকাল ৪টার দিকে শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।

এসময় উপস্থিত জনতা ‘আমিন, আমিন’ ধ্বনি দেন। অশ্রুসজল লাখো মানুষ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসলায়েলি নিপীড়ন বন্ধে আল্লাহর করুণা কমনা করেন।

মোনাজাত শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া শুরু করে মানুষ। সকাল থেকে যেমন উদ্যানমুখী মানুষের স্রোত ছিল, ফেরার সময়ও ঢাকার সব সড়কে জনস্রোত দেখা যায়।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি আয়োজন করে। কর্মসূচি থেকে পদযাত্রা বাদ দেওয়া হলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জমায়েত হয়। ঢাকার সব রাস্তা যেন মিলে যায় উদ্যানে। 

এর আগে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সি মানুষ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রিত হয়। পিক-আপ, ট্রাকে মিছিল নিয়ে আসে বহু মানুষ। দলে দলে হেঁটে আসতে দেখা যায় অনেক মানুষকে।

মানুষের স্রোতের মধ্যে পড়ে এবং ভ্যাপসা গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে যাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়ে পড়ে, তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র চ ফর গ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ