নববর্ষের শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন নিয়ে রহস্য
Published: 12th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়েছে। কে কোন উদ্দেশ্যে আগুন লাগিয়েছে, এ নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে পুড়ে যায়। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে যায় এবং শান্তির পায়রা মোটিফটি আংশিক পুড়ে যায়।
অনেকে বলছেন, অন্য মোটিফগুলো ঠিক থাকলেও ওই দুটি মোটিভ কীভাবে পুড়ল? নিশ্চয়ই কেউ ইচ্ছে করে শুধু ওই দুটি মোটিফে আগুন দিয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো.
শনিবার দুপুরে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “আমরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছি। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা আমরা খুঁজে বের করব।”
সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লা বলেছেন, শোভাযাত্রার জন্য অনেক মোটিভ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, টি নির্দিষ্ট মোটিফে আগুন লাগে, যা নিঃসন্দেহে রহস্যজনক। এ বিষয়ে তদন্ত করছি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বিভিন্ন ধরনের ও আকৃতির মোটিফ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কাজ করেছেন। আগুন লাগলে তখনো তো লাগতে পারত। অথচ, খুব ভোরে মানুষজন যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখনই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
শনিবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটে চারুকলা অনুষদে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।
ঢাকা/এমআর/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ভ য ত র র জন য চ র কল
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল